বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে শাল্লা উপজেলার যে হিন্দু গ্রামে হেফাজত ইসলামের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেখানকার দু’জন নারী বলছেন হামলার আগেই তারা পালিয়ে পাশ্ববর্তী বাঁধে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

বহু নারীই প্রাণ বাঁচাতে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং সেখান থেকেই নিজেদের বাড়িঘর তছনছ হওয়ার দৃশ্য তারা দেখেছেন।

হামলার সময় দুই সন্তানের মা লবঙ্গ রানী এবং তার পুত্রবধু বাসায় নিজেদের কাজ করছিলেন।

“হঠাৎ খবর পাই দু’দিক থেকে নৌকায় করে লাঠিসোটা নিয়ে লোকজন আসতেছে। বউকে নিয়ে ওই অবস্থাতেই ঘরে তালা দিয়ে দৌঁড় দেই হাওরের বাঁধের দিকে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ফিরে এসে দেখি ঘরবাড়ি তছনছ হয়ে গেছে,” তিনি বলেন।

“শব্দ শোনা যাচ্ছিলো যে ভাংচুর করছে। তালা ভেঙ্গে তারা ঘরে ঢুকে। ফিরে এসে দেখি আলমারি ভেঙ্গে টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার যা ছিলো সব নিয়ে গেছে।”

তিনি জানান দেড় ঘন্টার মতো প্রায় প্রতিটি বাড়িতে তাণ্ডব চালায় হামলাকারীরা এবং এ সময়ে তাদের সহায়তার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।

“ঘরে ঘরে ঢুকে চেয়ার টেবিল আলমারি ভেঙ্গেছে তারা। যার ঘরে যা পেয়েছে তাই নিয়ে গেছে বা ভাংচুর করেছে।”

তিনি জানান তার সাথে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছিলো বহু নারী ও কিশোরী।

BBC

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে