সিরাজগঞ্জ থেকে,মারুফ সরকারঃসিরাজগঞ্জ: মৎস্য ও শস্য ভাণ্ডার নামে খ্যাত রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা মিলে সিরাজগঞ্জ-৩ আসন গঠিত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ-সলঙ্গা ) আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা সম্প্রীতি মঞ্চের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং রায়গঞ্জ উপজেলা আ’লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হ্নদয় এগিয়ে রয়েছেন। প্রায় ১ যুগ ধরে তিনি নিজ সংসদীয় এলাকায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি’র নিল নকশা আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিহত করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকে নেতাকর্মীদের সবর্দা উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন ।

রায়গঞ্জ উপজেলা আ’লীগ আগে সাংগঠনিক ভাবে তেমনটা শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু আবুল কালাম আজাদ হ্নদয় এর প্রচেষ্টায় এখন সাংগঠনিক কর্মকান্ডে রায়গঞ্জ,তাড়াশ ও সলঙ্গা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। বিগত ২০১৪ সালে বিএনপি’র নির্বাচন বিরোধী আন্দোলন এবং২০১৫ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলন আবুল কালাম আজাদ হ্নদয়ের নেতৃত্বে তা প্রতিহত হয়। এ আসনে বার বার অতিথি পাখিরা মনোনয়ন পাবার চেষ্টায় উন্মাদ হয়ে ওঠে । একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে সেটা বেশ আগে থেকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যাদের কাউকেই আন্দোলনের সময় মাঠে পাওয়া যায়নি। কিন্তু আবুল কালাম আজাদ হ্নদয় তৃনমুল থেকে উঠে আসা কর্মী হওয়ায় এলাকার সকল স্তরের মানুষ মনে করছে সে সংসদ সদস্য হলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঠিক মূল্যয়ন হবে এবং দল শক্তিশালী হবে। এলাকাবাসী মনে করে বিএনপি প্রার্থীর সাথে ভোট যুদ্ধে মোকাবেলা করতে হলে তৃনমূল থেকে উঠে আসা হ্নদয়ের মত সাহসী কর্মীর দরকার। এলাকাবাসী আরও জানিয়েছেন,

এ আসনে বিএনপি’র সাথে মোকাবেলা করতে হলে অতিথি পাখি আর ভূমিদসূদের দিয়ে জয় সম্ভব নয়। কারন তারা রাজনীতি করে ব্যক্তি সার্থ উদ্ধারের জন্য, আমরা সেই মুখোশ ধারী নেতাদের চিনতে ভুল করিনি। যারা অসহায় মানুষের পাশে না দাড়িয়ে দু’বেলার আহার ছিনিয়ে নেয়। সেই সমস্ত নেতাদের নিশ্চয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দেবেন না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটাই অনুরোধ গরীবের বন্ধু আবুল কালাম আজাদ হ্নদয়কে মনোনয়ন দেয়া হোক। তার প্রতি এতো গভীর ভালবাসার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন,আবুল কালাম আজাদ হ্নদয় এমন একজন ব্যক্তি,যার ধ্যান জ্ঞান আমাদের মত নিম্নবিত্ত মানুষদের নিয়ে। যার উদ্দেশ্যই হচ্ছে সমাজের সহায়-সম্বলহীন মানুষের মুখে হাঁসি ফুটানো। দলীয়সুত্র মতে, ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে সিরাজগঞ্জ জেলা তথা সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ-সলঙ্গা)এলাকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন আবুল কালাম আজাদ হ্নদয়। ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে তার নিজ এলাকায় তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে এলাকার দূস্থ কর্মীদের মাঝে ঈদের আগে শাড়ী, লুঙ্গি,চিনি-সেমাই ও পাঞ্জাবীসহ প্রায় কয়েক হাজার ঈদ বস্ত্র বিতরন করেন।

আ’লীগের আন্দোলন সংগ্রামে যে সকল নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন তাদেরকে ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ঈদ সামগ্রীসহ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। উলে¬খ্য যে, সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা ২০০৫ সালে বেগম খালেদা জিয়ার অবৈধ র্নিবাচন প্রতিহত করার জন্য তীব্র আন্দোলন গড়ে তুললে রাসেল স্কয়ার থেকে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হয়েছিল। তার বর্তমান অবস্থান ঢাকাতে হলেও ‘ক’ দিন পর পর এলাকাতে ছুটে আছেন সাধারণ মানুষের ভালবাসার টানে। তাছাড়া তিনি (রায়গঞ্জ- তাড়াশ-সলঙ্গা) সব ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগদান করে ।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যেমন মতবিনিময় করছেন,তেমনি সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েও লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন, সমস্যার কথা শুনছেন। এলাকার মানুষের আপদ-বিপদে সাড়া দিচ্ছেন। গত রমজানকে কেন্দ্র করে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়েছেন। সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভোটার বলেন, আমাদের এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে নতুন নেতৃত্ব দরকার। এ ক্ষেত্রে আবুল কালাম আজাদ হ্নদয় এগিয়ে রয়েছে।তিনি এমপি হলে জনগনের কাঙ্খিত আশা পুরণ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ-৩(রায়গঞ্জ-তাড়াশ-সলঙ্গা) আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা সম্প্রীতি মঞ্চের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও রায়গঞ্জ উপজেলা আ’লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হ্নদয় বলেন,আমি সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ-সলঙ্গা) আসনের মানুষের পাশে ছিলাম, আছি ও আগামীতেও থাকবো। সারাজীবন মানুষের কল্যাণে ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই। এলাকার মানুষের পাশে থেকে তাদের আশা-আকাঙ্খা, অভাব অভিযোগের কথা শুনে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই। তবে দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে বিজয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে