সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের গুপিরপাড়া গ্রামের রোগে আক্রান্ত মরা গরুর মাংস খাওয়ানোর অভিযোগে জোসনা খাতুন নামের একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রতিবেশিরা।

ঘটনা টি ঘটেছে সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের গুপির পাড়া গ্রামে। গুপির পাড়া গ্রামের মো. বুদ্দুর স্ত্রী জোসনা খাতুনের বাড়ির চারপাশে প্রতিবেশি সিরাজগঞ্জ রেজিষ্টার অফিসের দলিল লেখক তরিকুল ইসলাম রিপন এর নেতৃত্বে একই গ্রামের গোলে ফকিরের ছেলে মোহাম্মদ আফজাল হোসেন,মোহাম্মদ আবু তাহের, আবু সাঈদ টিনের বেড়া, বাশ, বড়ই গাছের কাটা লাগিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জোসনা খাতুন । বাড়ির চারিদিকে টিনের বেড়া, বাশ, বড়ই গাছের কাটা দেওয়াতে বাড়িতে থেকে জোসনা খাতুন সহ জোসনা খাতুনের পরিবার বের হতে পারছে না। জোসনা খাতুনের স্বামী দিনমজুর হওয়ায় টিনের বেড়ার উপরে সকালে বের হয়, আবার বিকেল টিনের বেড়ার উপরে দিয়ে সন্ধ্যায় বাড়িতে প্রবেশ করছেন।

এদিকে মরা গরুর মাংস খাওয়ানোর বিষয়টি অশিকার করেন বুদ্দু এর স্ত্রী জোসনা খাতুন তিনি বলেন, আমার দেবের শামিমের স্ত্রী আয়েশা খাতুন আমাকে বলে তোমার যে একটা কঠিন রোগ আছে মরা গরুর মাংস খেলে রোগ ভালো হবে। আমি বলছি পাবো কোথায়? তিনি বলে আমি এনেছি নিয়ে যা-ও আমি নিয়েছি তবে খাইনি এবং কাওকে খাওয়াই নাই। কিছুক্ষণ পরেই সবাই আমার বাড়িতে এসে বলে তুমি নাকি মরা গরুর মাংস খেয়েছো এবং সবাইকে খাওয়াইছো তোমাদের বাড়ি ঘর থেকে বের হতে দিবো না। এই বলে আমার বাড়ি ঘরের চার পাশে টিনের বেড়া বাঁশ, বরই গাছের কাটা দিয়ে রেখেছে। আমরা কষ্ট করে বাড়ি থেকে বের হয়েছি আজ সাত দিন ধরে বাড়িতে যেতে পারছি না বিভিন্ন আত্মীয় সজনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিন পার করছি। প্রশাসন ও স্থানীয় মাতব্বরদের সু দৃষ্টি কামনা করছি যেন আমরা বাচ্চা ও পরিবার নিয়ে ভালো ভাবে থাকতে পারি। এ বিষয়ে ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, যদি মরা গরুর মাংস খাওয়ানো হয় এটা খুব খারাপ কাজ করেছে এবং তার জন্য একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করা এটা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। আমি বিষয় টা জানি না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি এবং সুষ্ঠু সমাধান করে দেবার চেষ্টা করছি ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে