ডেস্ক রিপোর্ট : নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সচিবালয় এলাকায় গাড়ির হর্ন বাজানোর অপরাধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক উপসচিবের গাড়ি আটক করে তার কাছ থেকে ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয় এলাকায় পরিবেশ অধিদফতরের আওতাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই জরিমানা আদায় করা হয়।

সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজিদ আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় জনপ্রশাসনের এক উপসচিব গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় হর্ন বাজান। এ অপরাধে তার গাড়ি আটক করা হয়। এ সময় উপসচিব নিজেই গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসা ছিলেন। তিনি অপরাধ করেছেন সে কারণে তার (উপসচিব) কাছ থেকে ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ’

উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ১৭ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ের চারপাশ ‘নীরব এলাকা’ বা ‘নো হর্ন জোন’ হিসেবে কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। পরে গত ৮ ডিসেম্বর সচিবালয়ের আশপাশে হর্ন বাজালে জেল-জরিমানা নির্ধারণ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের অধীনে প্রণীত ‘শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬’ অনুযায়ী ‘নীরব এলাকা’ বলতে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বা একই জাতীয় অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এবং এর চারদিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা এলাকাকে বোঝায়।

বিধিমালা (শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা) অনুযায়ী ‘নীরব জোন’ এলাকায় কেউ হর্ন বাজালে প্রথমবার সর্বোচ্চ এক মাসের জন্য কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধ পরবর্তীতে করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

J/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে