ডেস্ক রিপোর্ট : মাসুদ আলী খান। নাটক কিংবা চলচ্চিত্র- যার দাপুটে বিচরণ ছিল সর্বত্র। বর্তমানে এ অভিনেতা রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

তবে কথা বলার মতো শক্তি রয়েছে তার। বর্ষীয়ান এ অভিনেতা সিনেমায় অভিনয় করেছেন পাঁচ বছর আগে। মাঝে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করলেও গত একবছর ধরে এ মাধ্যমেও কোনো উপস্থিতি নেই তার। তবে গত ২৯ নভেম্বর তাকে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে দেখা গেছে।

হাসপাতালেই কথা হয় এ অভিনেতার সঙ্গে। কীভাবে তার দিন কাটে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন আর আগের মতো ব্যস্ততা নেই। বাসায় থাকি। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখি এবং টেলিভিশনে নাটক কিংবা সিনেমা দেখি। এভাবেই দিন কেটে যায়। মন চায় অভিনয় করি কিন্তু শারীরিকভাবে আমি প্রস্তুত নই। তবে খারাপ লাগে অভিনয় করতে পারছি না বলে।’

আমাদের দেশে নাটক ও সিনেমার বর্তমান অবস্থা কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খুব খারাপ অবস্থা বলব না। ভালোই চলছে দুটি মাধ্যম। তবে আমরা যেমনটা গুরুত্ব দিয়ে যত্নসহকারে কাজ করতাম, এখনকার শিল্পীরা মনে হয় সেভাবে কাজ করেন না। এখন কাজের অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে কিন্তু প্রাণ অর্থাৎ কাজে স্বাদ নেই।’

একটা সময় খুব ব্যস্ত ছিলেন এ অভিনেতা। আনন্দ-আড্ডায় সহশিল্পীদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। তাদের মধ্যে কারা কারা আপনার খবর নেন জানতে চাইলে কিছুক্ষণ চুপ থাকেন শক্তিমান এ অভিনেতা।

তিনি বলেন, ‘আমিই তো কারও খবর নিতে পারি না। অন্যের কথা কী বলব। সবাই এখন ব্যস্ত। চলে যাচ্ছে দিন। কোনো আক্ষেপ বা অভিযোগ নেই। সবার জন্য শুভ কামনা রইল আমার পক্ষ থেকে।’

মাসুদ আলী খান ১৯৩১ সালের ১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় সরস্বতী পূজায় ‘রানা প্রতাপ সিং’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ড্রামা সার্কেলের সঙ্গে যুক্ত হন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সাদেক খান পরিচালিত ‘নদী ও নারী’। সর্বশেষ প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত একটি ছবিতে অভিনয় করেন।

J/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে