জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় ফসলী জমির সীমানা ও ড্রেনকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষক দম্পতিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষক দম্পতির একমাাত্র ছেলে গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়া মুন্সিপাড়া গ্রামে নিজ বাসভবনে সংবাদ সমেম্মল করে এই অভিযোগ করেন ওই শিক্ষক দম্পতি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক আলহাজ্ব আব্দুল করিম বলেন, আমার বাড়ির পাশে ফসলি জমির সীমানা ও ড্রেনকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি আবুল হোসেন ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এরই জেরে গত ১৬ জুুুন

সন্ধ্যায় আমার ছেলে মোখলেছুর রহমান মুকুল বাড়ির পূর্ব পাশে গেলে আবুল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেবুননেছার নেতৃত্বে তাঁর দুই ছেলে বাদশা ও বাদল আমার ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এর প্রতিবাদ করলে বাদল মুকুলকে জাপটে ধরে আর বাদশা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারে ৷ একপর্যায় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মারা গেছে ভেবে সেখান থেকে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী এসে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থান্তর করেছেন। এখনও সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সে এখনও শঙ্কমুক্ত নয়।

তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষ আবুল হোসেন ও তাঁর ছেলেরা এলাকায় প্রভাবশালী। আমি যেন এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ বা মামলা না করি এ জন্য তাঁরা খুন, গুমের হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকির কারণে আমার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাই আপনাদের মাধ্যমে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল করিমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
এব্যাপারে আবুল হোসেনের সাথেে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে তাকে না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি ৷

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে