ডেস্ক রিপোর্টঃ বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে শেওড়ায় রেললাইন অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের রেললাইনের ওপর অবস্থানের খবর পাওয়ার পর দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট থেকে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন জানান, শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়ায় রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। কমলাপুর জিআরপি থানার ওসি ইয়াসির ফারুক জানান, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের পর কোনো ট্রেন ঢাকায় প্রবেশ করেনি এবং ঢাকা থেকে কোনো ট্রেন ছেড়েও যায়নি।

রোববার দুপুরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মীম নিহত হন। বাসচাপায় আহত হন আরও ১৩ জন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুই সহপাঠী নিহতের প্রতিবাদে কুর্মিটোলার শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা আজ সকাল থেকে বিমানবন্দর সড়কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও যোগ দিয়েছেন।

দুপুর ১টায় শিক্ষার্থীরা বাসচাপার জন্য দোষী পরিবহনকর্মীদের ফাঁসি ও নৌপরিবহন মন্ত্রী ও শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খানকে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধের পাশাপাশি শেওড়ার রেল লাইনও অবরোধ করে।

শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিগুলো হলো, বেপোরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে; নৌমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে; প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে; সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে, থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে; শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবে না; বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া যাবে না।

J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে