ডেস্ক রিপোর্টঃ জাল ভোট, কেন্দ্র দখল আর নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে, এখন চলছে গণনা। সোমবার সকাল ৮ থেকে এই তিন সিটিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সিটিগুলোর মেয়র পদে কাগজ-কলমে ১৯ প্রার্থীর নাম থাকলেও নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭ জন। এছাড়া তিন সিটির ৮৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৮১ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৪৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ভোট গ্রহণের পর থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ করে আসছেন বিএনপি প্রার্থীরা।

নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারসহ চার প্রার্থী। অন্য দুজন হলেন- ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী ওবাইদুর রহমান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মেয়রপ্রার্থী মনীষা চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ।

এছাড়া বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট সিটি কর্পোরেশনে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। রাজশাহী সিটি নির্বাচনেও বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভোট জালিয়াতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সিলেট সিটি নির্বাচনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অন্তত ১৫টি ভোটকেন্দ্রের এক বা একাধিক বুথ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুথ দখল করে জাল ভোট দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও কয়েকটি ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে তিন সিটিতেই সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজভী।

তবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি অভিযোগ করছে।

J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে