স্বাধীনতা পদক এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ, ইতিহাস ও শিল্পকলাবিশারদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এনামুল হককে হারানো জাতির জন্য কষ্টের ও বেদনার। তিনি বেঁচে থাকলে দেশের শিল্প ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন অনেক উপকৃত হতো।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকালে জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ড. এনামুল হকের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

এর আগে ড. এনামুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ শিল্প ও সংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।

প্রসঙ্গত, রোববার রাজধানীতে নিজে বাসভবনে মারা যান তিনি। ড. এনামুল হকের সহকর্মী (রিসার্চ ফেলো) সাইফুল ইসলাম বলেন, স্যার ৩টা ৩৫ মিনিটে ঘুমের মধ্যে মারা যান। সকাল থেকে তিনি কোরবানির যাবতীয় কাজ তত্ত্বাবধান করে দুপুরে খেয়ে ঘুমাতে যান। ঘুমের মধ্যে সাড়া না পেয়ে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এনামুল হক ১৯৩৭ সালের ১ মার্চ বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বগুড়া থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে স্নাতক ও ইতিহাস-প্রত্নতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দক্ষিণ এশিয়ার শিল্প নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনে ১৯৬২ সালে এনামুল হক তৎকালীন ঢাকা জাদুঘরে যোগদান করে।

পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে অধ্যক্ষ, ১৯৬৯ সালে পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকা জাদুঘরকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে রূপান্তর করা হয় এবং এর প্রতিষ্ঠাকালীন মহাপরিচালক হিসেবে এনামুল হক যোগদান করে। জাদুঘরের উন্নতি ও আধুনিকীকরণে তার অবদান অনস্বীকার্য। মহাপরিচালক হিসেবে তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ২০১৭ সালে একুশে পদক ও ২০২০ সালে স্বাধীনতা পদক এবং ভারতের পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হন।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে