শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সারা দেশেই বৃষ্টি হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি অঞ্চলে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সমুদ্রবন্দরগুলোয় তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।

বর্তমানে লঘুচাপটি খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চল ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে। এতে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা আছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে আগামী দু’দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মোংলায়। সেখানে ২৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর ফেনীতে ১৯৫, চট্টগ্রামে ১৪০, সাতক্ষীরায় ১৩৬ এবং কুতুবদিয়ায় ১১৪, কক্সবাজারে ৯২, টেকনাফে ৮৪, খেপুপাড়ায় ৮৩, সীতাকুণ্ডে ৮০, পটুয়াখালীতে ৭৩, কুমিল্লায় ৬১, মাইজদীকোর্টে ৫৮, যশোরে ৫৭, সন্দ্বীপে ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সময়ে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ দুপুর ১২টায় বাংলাদেশের খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চল ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে ও গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে সতর্কবার্তায়।

SO/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে