এম ডি বাবুল: রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার যেন একটাই সুযোগ ইয়াবা পাচার করা কারো ক্ষতিহোক তা যেন নিমিষেই ভুলে যায় পাচার কারি কিন্তু প্রশাসন তৎপর ইয়াবা পাচার বিক্রি বিষয়ে প্রশাসন কঠোর ভুমিকায় তৎপরতা পালন করছে এমন তথ‍্য নজরে এসেছে।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক কারবারী কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে একটি ট্রাক যোগে অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানি দল অদ্য ০৪ অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখ চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন কুমিরা কাজীপাড়াস্থ ফিলিং স্টেশনের সামনে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় চেক পোস্টের দিকে আসা সন্দেহজনক একটি ট্রাক’কে থামার সংকেত দিলে ট্রাকটি না থামিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী ১। মোঃ মহিবুল্লাহ (২৪), পিতা-মোঃ আজিজুর রহমান, সাং-হাতিয়াঘুনা, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার, ২। মোঃ ইয়াসিন (১৯), পিতা-মোঃ জামাল হোসেন, সাং-আজিমপাড়া, থানা-কর্ণফুলী, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ৩। মোঃ আলম (২১), পিতা-বাচা মিয়া, সাং-কুকদন্ড, থানা-বাঁশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম’দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের স্বীকারোক্তি, তাদের হেফাজতে থাকা ট্রাকের তেলের টাংকির ভিতর থেকে নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে ৫৭০টি বায়ুরোধক পলিজিপার প্যাকেট হতে ১ লক্ষ ১৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন অভিনব পন্থা অবলম্বন করে অবৈধ মাদক দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা এবং ঢাকা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার মাদক সেবনকারী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পাইকারি এবং খুচরা বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তার করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে