রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ হচ্ছে তরুণ। তরুণরাই আগামী দিনে রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে। উদ্ভাবক, নির্মাতা ও উদ্যোক্তা হিসেবে তরুণদের মেধা, শক্তি, কৌতুহল এবং সৃজনশীলতাকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা গেলে তা উদ্ভাবনভিত্তিক টেকসই উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। তরুণদের নব নব উদ্ভাবন তথা মেধাসম্পদের ব্যবহার ও যথাযথ বণ্টনের মাধ্যমে অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং সর্বোপরি দারিদ্র্যমোচন সম্ভব বলে আমি মনে করি।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ২৬ এপ্রিল ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘IP and Youth : Innovating for a Better Future’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, বিশ্বে যেসব দেশ নবসৃষ্টিতে অগ্রণী তারাই আজ বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী। সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও বাংলাদেশ সৃজনশীলতার দিক থেকে কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই। তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের তরুণরা দেশে-বিদেশে তাদের যোগ্যতার প্রমাণ রাখছে। একটি নিরাপদ, টেকসই ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমাদের তরুণদের মেধার সর্বোত্তম ব্যবহারের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে ওঠে এসে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা করেছে। বিশ্বায়নের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন একটি বড় অভিপ্রায়। তরুণ সমাজের অংশগ্রহণে মেধাভিত্তিক শিল্প ও অর্থনীতি গড়ে তোলার মাধ্যমে এটা অর্জন সম্ভব। এজন্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সনাতনী প্রযুক্তি ও ধ্যান-ধারণা পাল্টে মানুষের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে হবে।

বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উদযাপনের প্রাক্কালে আমি দেশের সব গবেষক, প্রযুক্তিবিদ, শিল্পপতি, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেধাসম্পদ সংরক্ষণ এবং এর যথাযথ ব্যবহারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে