মোঃ আসাদুজ্জামান পাভেল, ডিমলা (নীলফামারী) থেকে –  নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ১১ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ব্যাপক আনন্দ উৎসাহের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়েছে ডিমলা হানাদার মুক্ত দিবস। উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্তরে এসে মিলিত হয়।

র‌্যালী শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার’র সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ তবিবুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ মোকলেছুর রহমান, ডিমলা আরবিআর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হানিফ সরকার, ডিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ লুৎফর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’র সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ সামছুল হক, বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর রশিদ, মহিলা মহাবিদ্যারয়ের একাদ্বশ শ্রেণীর ছাত্রী রানী আক্তার প্রমূখ।

এ সসয় উপস্থিত ছিলেন,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ব্যবসায়ী, সরকারী-কর্মকর্তাবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষজন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৮ অক্টোবর দক্ষিন বালাপাড়ায় পাকবাহীনির সাথে সম্মুখ যুদ্ধ হয় মুক্তিবাহীনির। প্রবল এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে কিছুতেই পিছু হটেনি মুক্তিবাহিনী। অসীম সাহসে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যুদ্ধে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাকসেনারা। অক্টোবর-নভেম্বরে ডিমলায় খন্ড যুদ্ধে মুক্তিবাহীনির সদস্য ও সাধারণ মানুষ নিহত। অবশেষে ১১ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় ডিমলা । সেদিন মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষের মুখে উচ্চারিত হতে থাকে জয় বাংলা ধ্বনি। প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ডিমলার আকাশ-বাতাস।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে