মোঃ আমজাদ হোসেন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি: জয়পুরহাটে মোটরসাইকেল চুরির অপরাধে চোরচক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপর দেড়টায় জয়পুরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম এসব তথ্য জানান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) ফারজানা হোসেন, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জনাব শাহেদ আল মামুন প্রমুখ।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জয়পুরহাট পৌরশহরের স্কাউট ভবনের সামনে ঈদগা মাঠে নর্থ বেঙ্গল স্কুল কর্তৃক আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করার সময় অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণের পার্শ্বে রাখা তার বড় ভাই মো. সাদেকুল ইসলাম এর একটি TVS Apache RTR 150 cc মোটরসাইকেল (রেজি নং- জয়পুরহাট-ল-১১-৩১০২) মোটরসাইকেল চুরি হয়।
১ মার্চ ২৩ ইং, মো. আসাদুজ্জামান রাশেদ জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর পুলিশের একটি দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে।

অভিযানে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন থানা এলাকাসহ বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর, গাইবান্ধা, টাঙ্গাইল, জামালপুর জেলায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর দলের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন—জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মালঞ্চা ফকির পাড়ার আতোয়ার হোসেনের ছেলে তাওসিব হাসান নাদিম (২৪), একই উপজেলার সিতামাতখুর গ্রামের সুলতানের ছেলে মিম হোসেন (২৫), বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার উত্রাইল গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম(২৪),দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনাগাড়ি গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে সোহানুর রহমান সোহান (২২), একই উপজেলার বাগদাপাড়া গ্রামের আলফার হোসেনের ছেলে শামিম (২৪), ও একই উপজেলার নবীনগঞ্জ সাংবাগদা খালিপুর গ্রামের মৃত-তদির উদ্দীনের ছেলে আলফার হোসেন (৪৫) এবং তাদের কাছ থেকে ৬টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মোটরসাইকেল চুরির একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করার কথা স্বীকার করেছে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতার চোরদের হেফাজত থেকে বাদীর ওই মোটরসাইকেলসহ চোরাই আরও ৫টি মোটর সাইকেল, চুরির কাজে ব্যবহৃত মাস্টার চাবি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার চোরদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে পূর্বের একাধিক চুরি মামলা বিচারাধীন আছে। এই চোরচক্র মাস্টার চাবির সাহায্যে যেকোনো মোটরসাইকেল আনলক করে এবং চুরি করে তাদের চক্রের অন্য সদস্যের মাধ্যমে পার করে দেয়। চোরেরা তাদের এই চুরি করা মোটর সাইকেল নাম মাত্র ২০ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্যে তৎপরতা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার মহোদয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে