ডেস্ক রিপোর্ট : এ যেনো কৈয়ের তেলে কৈ ভাজা! জিকা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস বহনকারী মশাকে ঠেকাতে এবার মশাকেই কাজে লাগাতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ভেরাইলি লাইফ নামের একটি শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ল্যাবে জন্ম হওয়া নতুন এই মশাগুলো কোনো ক্ষতি করবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ব্লুমবার্গ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশেষায়িত এই মশাগুলোর সবই হবে পুরুষ মশা। পুরুষ মশাগুলোর শরীরে একটি ব্যাকটেরিয়া যুক্ত করে দেওয়া হবে। এই ব্যাক্টেরিয়া মানুষের কোনো ক্ষতি না করলেও এই মশার সাথে মিলিত হওয়া অন্যান্য স্ত্রী মশাকে বংশবিস্তারে অক্ষম করে দিতে ভূমিকা রাখবে।

এতে ধীরে ধীরে নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে মশার সংখ্যা কমে আসবে। এক সময় ওই অঞ্চলে মশার সংখ্যাও কমে আসবে, আবার মশার মাধ্যমে রোগের সংক্রমণও কমবে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এডিস ইজেপ্টাই মশাকে বেছে নেয়া হয়েছে।

ভেরাইলি’র প্রধান প্রকৌশল কর্মকর্তা লিনাস আপসন জানান, ল্যাবে জন্ম হওয়া এসব মশা ওলব্যাকিয়া নামের প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট একটি ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত থাকবে। মশাগুলো সব পুরুষ হওয়ায় মানুষকে কামড়াবে না। আবার এগুলো খুব সহজেই বন্য স্ত্রী মশার সঙ্গে মিলিত হবে। এই মিলনের ফলে স্ত্রী মশাগুলো বাচ্চাদানে অক্ষম হয়ে পড়বে।

নির্দিষ্ট অঞ্চল হিসেবে ইতোমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেসনোকে বেছে নিয়েছে ভেরাইলি লাইফ। প্রতিষ্ঠানটি তিনশ’ একরের দুটি এলাকায় প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ করে মশা ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে। এভাবে ২০ সপ্তাহ ধরে মশা ছাড়া হবে।

ইতোমধ্যেই প্রকল্পট নিয়ে কাজ করতে সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান টেমাসেক হোল্ডিংস-এর কাছ থেকে ৮০ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে ভেরাইলি লাইফের মাদার প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট।আগামী গ্রীষ্মেই প্রকল্প অঞ্চল ফ্রেসনোতে মশার সংখ্যা কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন লিনাস আপসন।

2/4

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে