এম ডি বাবুল, চট্রগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: জনকল্যাণ মূলক কাজ করে বাঁশখালীর আপামর জনসাধারণের আশা এবং ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান। ভূমি অফিসের কাজের পাশাপাশি বাঁশখালীর আনাচে-কানাচে বিভিন্ন অপরাধ দমনে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে নিরলস ও নির্ভয়ে দেশ ও দশের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের নাগালের ভিতরে রাখার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল খাবার অপসারণে মুদি দোকান, হোটেল, মাছের বাজার এবং কাঁচা বাজারের অসৎ ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে।

ভূমি অফিসের দালালদের ধরে ধরে জরিমানা, সাজাসহ ভুক্তভোগীদের টাকা উদ্ধার করে দিয়ে অনেক অসহায়, গরীবদের কাজ নিজ হাতে সাথে সাথে অতিরিক্ত টাকা ছাড়া সরকারী ফি দিয়ে সম্পন্ন করে দিয়েছেন। এক সময় সাধারণ সেবা প্রার্থীরা এসিল্যান্ডের সাথে দেখা করতে পারতোনা কিন্তু উনি সেবা প্রার্থীদের নিজে ডেকে ডেকে সমস্যা সমাধান করে দিচ্ছেন।

এছাড়া অবৈধ মাটি খেকোদের জম বললেই চলে। নিয়মিত অবৈধ মাটি খেকোদের জেল জরিমানা করে যাচ্ছেন। যার ফলে পাহাড় কাঠা, ফসলি জমির টপ সয়েল কাটা এবং ফসলি জমি ভরাট করা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অবৈধ বালু উত্তোলন একেবারে বন্ধ বললেই চলে। এমন প্রশংসনীয় কাজের কারণে তিনি বাঁশখালীর মাটি ও মানুষের মন জয় করে একজন সৎ, দক্ষ এবং মানবিক কর্মকর্তা নয়, বরং জনসাধারণের মানবিক বন্ধু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, রমজানের ৫ম দিনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে গিয়ে নিজের এক অভিজ্ঞতা জনসাধারণের কাছে তুলে ধরেন- তিনি বলেন, আজ বাঁশখালী উপজেলার মিয়াবাজারে মোবাইল কোর্টে এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা হলো। মিয়া বাজারে মুরগীর দোকান আছে হাতেগোনা ৩ থেকে ৪ টি। কোনটির মূল্য তালিকা নেই।কাঁচা বাজারের ভেতর ১ম দোকানদার জানালো বর্তমান তিনি প্রতিকেজি সাদা(ফার্মের) মুরগী বিক্রি করছে ২৩০ টাকা তার কেনা পড়ে ২০০ টাকা কেজি। ২য় দোকানদারের ভাষ্যমতে তিনিও বিক্রি করেন ২৩০ টাকা তার কেনা পড়ছে ২২০ টাকা। ৩য় দোকান যেটি কাঁচাবাজারের বাইরে সে বিক্রি করছে প্রতি কেজি ১৯০ টাকা এবং সে ক্রয় রশিদ দেখায় প্রতি কেজি ১৮০ টাকা করে। তাহলে কথা হলো আইন করে মোবাইল কোর্ট করে অপরাধ দমন কি সম্ভব যদি এই রোজার মাসে প্রতি কেজি মুরগীতে একজন ব্যবসায়ী ৫০ থেকে ৭০ টাকা লাভের আশা করে।। রোজার মাস সংযমের মাস সকলের সকল কিছুতে সংযম থাকা আবশ্যক।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে