এম ডি বাবুল: র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বিশেষ নজরদারী এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় কক্সবাজারের চকরিয়া থানাধীন চকরিয়া পৌরসভারস্থ মাষ্টারপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নাশকতাকারীদের নিকট অন্যতম অস্ত্র সরবরাহকারী শাহাদাত হোসেন দোয়েল প্রকাশ দোয়েল্যা (৪৪), পিতা-ফজলুল হক, সাং-বাটাখালি (মাস্টারপাড়া), ৩নং ওয়ার্ড, চকরিয়া পৌরসভা, থানা-চকরিয়া, স্থায়ী ঠিকানা-সাং-মোহাম্মদ শাহঘোনা, কালামারছাড়া, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার করা হয় দেশীয় তৈরী ০২টি ওয়ানশুটারগান, ০১টি এলজি, ০১টি ধারালো চাকু এবং ০৫টি সিগন্যাল বাতি’।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নাশকতাকারীরা তার মাধ্যমে অস্ত্র সংগ্রহ করে। গ্রেফতারকৃত আসামী অস্ত্রের চাহিদা পাওয়ার পর সে বিভিন্ন অস্ত্রের কারিগরদের নিকট থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করতো এবং তার নিজের দু’জন কারিগর রয়েছে তাদের মাধ্যমে অস্ত্র তৈরি করে নাশকতাকারীদেরকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা অর্থের বিনিময়ে এই অস্ত্রগুলো সরবরাহ করতো। সে ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অস্ত্র নাশকতাকারীদের নিকট সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত শাহাদাত হোসেন দোয়েল প্রকাশ দোয়েল্যা একজন আত্মসর্মাপণকৃত কুখ্যাত জলদস্যু ও চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তার পৈত্রিক বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালীর কালামারছড়া হলেও বিগত কয়েক বছর ধরে সে চকরিয়া পৌরসভার মাস্টারপাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছিল। সে মহেশখালীতে থাকা অবস্থায় জলদস্যুতা, ডাকাতি, অপহরণ, অস্ত্র সরবরাহ, বিভিন্ন হত্যাকান্ড, নির্বাচনে অরাজকতা, মারামারি ও সহিসংতা সৃষ্টি, হত্যাকান্ড সংঘটিত করতো। এ সকল অপরাধে জড়িয়ে পড়ে সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে একপর্যায়ে চকরিয়ায় বসবাস শুরু করে এবং সেখানেও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে। গ্রেফতারকৃত দোয়েল্যা মূলত এলাকার রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করতো। নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে যে কারও হয়ে কাজ করা এবং উক্ত প্রার্থীর নির্দেশনা মোতাবেক বিরোধী প্রার্থীদের অস্ত্রের ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর জন্য হুমকি দিতো। এছাড়াও বিরোধী প্রার্থীদের সমর্থকদেরও ভীতি প্রদর্শন, হুমকি, অপহরণ, গুম’সহ তাদের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ এবং ক্ষেত্র বিশেষ হত্যাকান্ড সংঘটিত করতো বলে জানা যায়। রেকর্ডপত্র যাচাইয়ান্তে তার বিরুদ্ধে হত্যা, খুন, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে মহেশখালী ও চকরিয়া থানায় সর্বমোট ১০টির অধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে র‌্যাব-১৫ অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ১১ জন নাশকতাকারীকে গ্রেফতারসহ ০২টি বিদেশী পিস্তল, ১৬টি এলজি, ০৮টি এসবিবিএল, ০৪টি ওয়ানশুটারগান, ২৮টি ককটেল, ৬.৯ কেজি বিস্ফোরক এবং ১.৫ কেজি মারকারি (পারদ) উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে