মারুফ সরকার ,ঢাকা: ২৭ জুন ২০২১ইং রবিবার বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মহাসচিব এড. সাইফুল ইসলাম সেকুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল-আমিন এক যৌথ বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে বলেন, “ঢাকার প্রানকেন্দ্র কলাবাগান থানাধীন ফ্রি স্কুল ষ্ট্রীট হাতিরপুলের ২৩নং বাসার আয়শা বারী মঞ্জিলের ৭ম তলায় বসবাস করেন ৭০ বছরের বৃদ্ধা শিরিন আক্তার এবং তার বড় ছেলে এখলাছ ও ছোট ছেলে সুমন। ২০০০ সালে শিরিন আক্তারের স্বামীর মৃত্যুর পর জীবন-জীবিকা সংগ্রহের জন্য নানা কাজের সাথে সম্পৃক্ত হন শিরিন। বর্তমানে তারই মহল্লায় বিভিন্ন বাড়িতে পানি সরবরাহ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তার মেজ ছেলে ইসমাঈল হোসেন ২০১২ সালে নিখোঁজ হয়ে যান। ৬ দিন তার লাশ নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে উঠে। সেখান থেকে পুলিশ উদ্ধার করে তাদের কাছে হস্তান্তর করলে সেই লাশ আজিমপুরে দাফন করেন। তার ১০০ বছরের বৃদ্ধ মাতা আয়শা বারী ৩ মাস গর্ভে নিয়ে পূর্বের স্বামীকে ত্যাগ করে নতুন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই ঘরে আরো ৩ বোন, দুই ভাই জন্ম গ্রহণ করেন। ত্যাগ স্বামীর কাছ থেকে আদালতের মাধ্যমে টাকা প্রাপ্ত হয়ে সেই টাকা দিয়ে কলাবাগান থানার উক্ত বাড়ির জায়গাটি ক্রয় করেন আয়শা বারী। পরবর্তীতে ডেভেলপারদের কাছে হস্তান্তর করলে সেখানে গড়ে উঠে ১০ তলা বিল্ডিং। প্রথম ঘরের একমাত্র মেয়ে শিরিন আক্তার শুরু থেকেই এই বাড়িতে রয়েছেন। এখন বর্তমানে ৭ম তলায় অবস্থান করছেন। কিন্তু তার মাকে অন্য ভাই ও বোনেরা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে এই বলে তুমি যদি তোমার প্রথম মেয়েকে স্বীকার কর আর এই সম্পত্তির ভাগ দাও তাহলে শিরিন আক্তার ও তার পরিবারকে পৃথিবী ছাড়া করবে। ইতিপূর্বে শিরিনের মেজ ছেলে ইসমাঈল হোসেন নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিন পর লাশ পাওয়ায় বয়স্ক বৃদ্ধা আতঙ্কিত ও ভয় পেয়ে তাদের কথা মতো নিজের গর্ভস্থ সন্তানকে পালিত সন্তান হিসেবে অন্যান্য ভাইবোনরা আদালতে মামলার মাধ্যমে প্রমাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং সেখানে তিনি মৌন সমর্থন জানাচ্ছেন। আর তার মেয়ে শিরিনকে মুখে মুখে বলছেন আমার মৃত্যুর পর এই জায়গার অধিকার তুই এমনিতেই পাবি। এ বিষয়ে শিরিন আক্তার জাতীয় মানবাধিকার সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে অদ্য ২৭ জুন ২০২১ বিকাল ৩ টায় শিরিন আক্তারের বর্তমান অবস্থানরত ফ্ল্যাটে সংগঠনের চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা গেলে দেখেন সেখানে তাদের ব্যবহৃত মালামাল অগোছালো রয়েছে এবং কিছু মালামাল বের করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শিরিন আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার ছোট বোন নাছিমা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নুরুকে নিয়ে প্রথমে হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়। তার পরবর্তীতে কলাবাগান থানার এসআই জাকির হোসেন ঘটনা স্থলে এসে শিরিন আক্তারকে বলেন আপনার মা বোনরা এখানে আপনাকে থাকতে দিতে চায় না। আপনি কিভাবে থাকবেন? ২-৩ দিনের মধ্যে কোর্টের রায় আসলে আপনাকে এখান থেকে উচ্ছেদ করা হবে। এই ঘটনায় শিরিন আক্তার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন ৭০ বছরের একজন বৃদ্ধা তিনি তার স্বামীকে হারিয়েছে, এক সন্তান নিখোঁজ হওয়ার পর লাশ হয়ে ফিরেছে, বাকি দুই সন্তানসহ তিনি নিজেই এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে যে কোন সময় তাকেও হত্যা করা হতে পারে। আমরা দাবি করছি তাকে যারা পালিত সন্তান হিসেবে প্রমাণ করতে চায় তার মা জীবিত ও সুস্থ্য থাকা অবস্থায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তদন্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার ন্যায্য অধিকার তাকে ফিরিয়ে দেয়া হোক।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে