কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: দিনমজুর গরিব অসহায় ও ভূমিহীন গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর এবং নিজ পরিবারকে নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছে। এমনই একটি পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছিট রাজিব সরকার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শেফালী বেগম, নেই
কোনো জমি, নেই মাথা গোঁজার ঠাই। তাই, পরিবার পরিজন নিয়ে থাকছেন ক্যানেলের রাস্তার পাশে একটি ঝুপডী় ঘরে।

দুই সন্তানসহ দিনমজুর স্বামী ছোরাব আলী ও শেফালী দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন এই ঝুপড়ীঘরে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দিনমজুর ছোরাব আলী নানা রোগে আক্রান্ত ফলে যেতে পারেন না কাজে। তাই স্বামী-সন্তানদের মুখে একমুঠো খাবার তুলে দিতে সংসারের দায়িত্ব নিয়েছেন তার স্ত্রী শেফালী বেগমের কাঁধে। যিনি এখন অন্যের বাসায় কাজ করে কোনোমতে চালিয়ে নিচ্ছেন সংসার।

জানা গেছে, স্থানীয়দের মাধ্যমে শেফালী দম্পতি অবগত হয়েছিলেন মুজিব বর্ষের আশ্রায়ন প্রকল্প সম্পর্কে। আবেদনও করেছিলেন একাধিকবার। তবে একাধিকবার মুজিব বর্ষের সেই ঘরের জন্য আবেদন করলেও তালিকায় নাম ওঠেনি এই পরিবারটির। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পরিবারটি অত্যন্ত অসহায়,হত-দরিদ্র ও ছিন্নমুল এমন পরিবার সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য।

ভুক্তভোগী শেফালী দম্পতির সাথে কথা বলে জানাগেছে, এই ঝুপড়ি ঘড়ে দীর্ঘদিন ধরে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমার স্বামী একজন অসুস্থ মানুষ নানান অসুখ-বিসুখে তার অবস্থা খারাপ, কোন কাজকর্ম করতে পারে না। আমাদের মুখের দিক তাকিয়ে হলেও যেন একটা ঘর আমাদেরকে দেয়া হয়। শেফালী দম্পতির স্বামী ছোরাব আলী বলেন শুনেছি বঙ্গবন্ধু কন্যা অনেক মানুষকে ঘর দিয়েছেন। আমিও একটি ঘর চাই, ঘরটি পেলে আমার দুঃখ ঘুচতো, ছেলে-মেয়েকে নিয়ে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই হতো।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম আশিক রেজা সাথে মুঠোফোনে কথা হলে বলেন এখন তো আশ্রায় প্রকল্প নেই, নতুন করে আমাদেরকে সংগ্রহে রাখতে হবে সরকারের প্রজেক্ট,গুচ্ছ গ্রাম কিংবা যদি ব্যারাকও হয় বিষয়টি নোট করে রাখেন ব্যবস্থা করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে