মারুফ সরকার, ঢাকা থেকেঃ রাজধনীর সব শ্রেনী পেশার মানুষ এখন ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করা শিখছে। আর এই সাথে চিরো চেনা যানজটের রাজধানী ঢাকার চিত্র ১০ দিনেই বদলে দিয়েছে বাংলাদেশ রোভারস্কাউট দলের সদস্যরা। ডিএমপি পুলিশের সাথে রোভারস্কাউট দল ট্রফিকের দায়িত্ব পালন করতে এসে রাজধানী ঢাকার পথচারীদেরকে সচেতন করে দিলো আজকের রোভার স্কাউট দল। একদিকে ট্রাফিকের নিয়ম না মেনে পরিবহন পরাপার করতে দেয় হচ্ছেনা, অন্যদিকে পদচারীদের ফুটঅভারব্রিজ ছাড়া মাঝপথে দিয়ে চলতে দেয়া হচ্ছেনা।

যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থাকতে হতো রাজধানীর গুরত্বপুর্ন মোড়ে, এখন নির্বিঘ্নে অল্প সময়ের মধ্যে যাতায়াত করছে পরিবহন। এর সাথে উধাও হয়েছে ফিটনেস বিহিন পরিবহন। আবার ট্রাফিক নিওম না মানলে সাথে সাথে মামলা দেয়াও হচ্ছে ড্রাইভারদের উপর। আবার পদচারিরা যদি মাঝপথে দিয়ে পারাপার হতে নেয় তাহলে সাথেসাথে রোভারস্কাউট সদস্যরা তাদের সচেতন করার জন্য মাঝপথ দিয়ে পার হতে দিচ্ছেনা।

সারিবদ্ধভাবে ফুট অভারব্রিজ দিয়ে সব শ্রেনী পেশার মানুষ এপার থেকে ওপারে যাচ্ছে এমন চিত্র যেন এখন চোখে পড়ার মোত। গত ৫ সেপ্টম্বর থেকে মাসব্যপী রাজধানী ঢাকার ১২টি গুরুত্বপুর্ন মোড়ে বিভিন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তরুন তরুনী রোভার স্কাউটের ২২২ জন সদস্য সেচ্ছায় পুলিশের সাথে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। গত কয়েকদিন ১২টি মোড়ের মধ্যে রাজধানীর মাতিঝিল শাপলা চত্বর, পল্টন গোলচত্বর, সাহবাগ, পান্থপথ, ফার্মগেট. মিরপুর ১০, ভিআইপি রোড বিজয়স্বরনী, মহাখালী, এ্যয়ারপোর্ট গোলচত্বর সহ উত্তরার হাউস বিল্ডিং ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এসময় কথা হয় উত্তরা হাউস বিল্ডিং এর সামনে রোভার স্কাউটের জাতীয় কমিশনার সারওয়ার মোহাম্মাদ শাহরিয়ার এর সাথে। তিনি জানান, সারাদেশে প্রায় ৭হাজার রোভারস্কাউট শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের উপর শিক্ষা অর্জন করেছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোক ডিএমপি পুলিশের সহযোগীতায় যানজট মুক্ত নিরসনে আমাদের রোভার সদস্যরা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি করছি, ওভারব্রিজ এর স্থলে ভু-ওভারপাস নির্মান করলে রাজধানীর যানজট নিরসনে আরও সহায়ক ভুমিকা রাখবে।

অপর দিকে রোভার সদস্য জাহিদ হাসান দাবি করছে, ওভারব্রিজ গুলো আরও প্রস্বস্থ হলে পদচারীদের অল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারবে। লাইনে দাড়িয়ে অফিসগামী ইমতিয়াজ জানান, আমাদের এভাবে পারাপার হতে কোন সমস্যা হচ্ছেনা, তবে এই অভিযান যেন আর কোন দিন বন্ধ না হয়।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইয়াসমিন সাইকা পাশা বলেন, আমাদের বিশ্বাস ছিল পথচারীদের সামলানো গেলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। স্কাউটদের সহযোগিতায় আমরা তা করতে পেরেছি। তাই রাজধানীতে এই পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে