‘দেশের অগ্রযাত্রায় শক্তিশালী ভূমিকা রাখছেন শ্রমজীবী নারীরা। এ মানুষগুলোর ক্ষমতায়ন জোরালো হলে তারা দেশকে একটি সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন সম্প্রীতির দেশ হিসেবে গড়তে পারবে।’

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে শিশু একাডেমিতে দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে) ৩৫ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

তারা জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুসরণ করে ১৯৮৮ সালে ডিএসকে প্রতিষ্ঠিত হয়। দরিদ্র, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সমাজ গঠনই ডিএসকের লক্ষ্য। প্রতিষ্ঠানটি দেশের নির্বাচিত দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য দূরীকরণে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ডিএসকের কর্মকাণ্ড অনেক বিস্তৃত। তারা স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। হতদরিদ্র মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। ডিএসকের হয়তো সম্পদ সীমিত কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য মহৎ।

স্বাগত বক্তব্যে ডিএসকের নির্বাহী পরিচালক ড. দিবালোক সিংহ বলেন, নারীরা আমাদের কাছ থেকে পুঁজি ঋণ হিসেবে নিয়ে তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি উন্নত করতে সমর্থ হয়েছেন। একটি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ডিএসকের নারী গ্রাহকরা সফল হচ্ছেন। এতে পরিবারে ও সমাজে নারীর মর্যাদা বাড়ছে।

আগামী দিনের কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তি সমতার সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজার ভিত্তিক অর্থনীতির ভেতর দিয়ে যদি আগাতে হয়। যে মানুষগুলো অবহেলিত ও সুবিধাবিঞ্চিত সেই মানুষগুলোর জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কিছু করা দরকার। এ ধরনের অনুধাবন থেকে দুস্থ স্বাস্থ্যের জন্ম। তিনি বলেন, বড় কাজ একা করা যায় না। এ জন্য অংশীদারত্ব লাগবে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আজ উদযাপন করবেন। নতুন স্বপ্ন দেখবেন ও ওই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে