জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ নিয়ে মামলার প্রেক্ষিতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে তদন্তে নেমেছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দূদক)। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) পৌরসভায় তদন্ত কার্যক্রম চালানো হয়েছে। সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত চলা এই কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন দূদক রংপুর অফিসের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরিফ। সাথে ছিলেন উপ সহকারী পরিচালক সুশান্ত সাহা।

এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তারা শহরের রেলওয়ের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণকারী আলোচিত দুইজন ব্যবসায়ীর ভবনসমুহ ও তৎসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও যান। সেইসাথে তাদের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও সংগ্রহ করেন।

এসময় সহকারী পরিচালক হোসাইন শরিফ বলেন, মূলতঃ জমির মালিকানা নিয়ে রেলওয়ে ও পৌরসভার মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে মামলা চলমান। আদালতের নির্দেশে ইতোপূর্বে একটা সংক্ষিপ্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে এখন বিস্তারিত তথ্য তলব করা হয়েছে। সেজন্যই আমাদের আজ আসা।

উপ সহকারী পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, রেলওয়ের সাথে পৌরসভার লিজ চুক্তি শর্তানুযায়ী শুধু জমি ব্যবহার করতে পারবে। কোন অবকাঠামো পরিবর্তন, সংষ্কার বা নতুন নির্মাণ করা যাবেনা। অথচ সব নিয়ম ভঙ্গ করে অসংখ্য বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে। এর সংখ্যা প্রায় চার শতাধিক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটির মালিকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে মামলা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেগুলোর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, রেল ও পৌরসভার দ্বন্দ্বে মামলা। সেখানে আমাদের বলার কিছুই নাই। আমরা পৌরসভা থেকে বরাদ্দ নিয়ে নকশা অনুমোদন করেই ভবন করেছি। তাই এতে আমাদের কোন ত্রুটি নাই। তবুও দূদকে কে বা কারা অভিযোগ করেছে। সেজন্য তারা এপর্যন্ত ১০ বার তদন্ত করেছে। আবারও এসেছে।

সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বলেন, আমার আমলে কোন ভবন নির্মানের নকশা অনুমোদন দেয়া হয়নি। আর আমাদের তদন্তে দূদক আসেনি। বরং বহুতল ভবন নির্মানকারীদের মধ্যে আলতাফ হোসেন ও ঠিকাদার জয়নাল আবেদীনের বহুতল ভবন বিষয়ে তদন্তে এসেছেন। ওই ভবনগুলোও ইতোপূর্বের মেয়র নকশা অনুমোদন দিয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে