কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের এ্যাডভোকেট আনিছুল আরেফিন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর দৈনিক দাবানল,প্রথম খবর,জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন এবং বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিকবার প্রকাশিত হলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের নিয়ন্ত্রকারী কর্মকর্তা হলেন একমাত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম কিংবা দূর্নীতির অভিযোগ হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার একমাত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের। সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাঁর অফিসের অধ:স্তন একাডেমিক সুপারভাইজার,হাবিবুল্লাহ এর মাধ্যমে নামমাত্র বিভাগীয় ব্যবস্থা হিসেবে মৌখিক শোকজ করা একটি লোকদেখানো ও হাস্যকর ব্যবস্থা বটে। সুতারাং অভিযুক্ত ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশিত অভিযোগের গৃহিত এহেন বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণ বিস্মিত হয়েছেন। তারা মনে করেন ফরিদুল ইসলামের খুঁটির জোর কোথায়?

শোকজের বিষয় একাডেমিক সুপারভাইজারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শোকজের জবাব পেয়েছি এবং জেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের নিকট পাঠানো হয়েছে। কি জবাব দিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,“আমি বলতে পারবো না, জেলা শিক্ষা অফিসার নিষেধ করেছেন।

এদিকে এ্যাডভোকেট আনিছুল আরেফিন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত শোকজের বিষয়টি সম্পর্কে জেলা শিক্ষা অফিসার, সফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন, “ আপনারা এর পিছনে কি পাইছেন,আপনাদের আর কোন কাজ নাই, আমাকে আর কখনো ফোন দিবেন না,যত পারেন নিউজ করেন।” একজন জেলা পর্যায়ে অফিসারের এ ধরনের উক্তি বিস্ময়কর ও তথ্য অধিকার আইনের পরিপন্থি এবং তিনি প্রভাবিত হতে পারেন বলে এলাকাবাসীর ধারণা।

এ্যাডভোকেট আনিছুল আরেফিন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের এ ধরণের দূর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক,ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনে আশা করি কর্তৃপক্ষ জরুরী পদক্ষেপ নিবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে