জয়নাল আবেদীন হিরো নীলফামারী জেলা: নীলফামারীর সৈয়দপুরে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট- হাইকোর্টের আর্দেশ অমান্য করে কবরস্থানের জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে শহরের নিয়ামতপুর ভজে পাড়া এলাকায় ৷

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উক্ত ঘটনা স্থলে গেলে এদৃশ্য চোখে পড়ে ৷ অভিযোগে জানা যায়,ওই এলাকার তিন ভাই যথাক্রমে আঃ জব্বার,এছমাইল ও ইছামুদ্দীন ৷

তিন ভাইয়ের মৃত্যুর পর তাদের রেখা যাওয়া সম্পত্তির মালিক হন তাদের ওয়ারিশগন ৷এই সম্পত্তির মধ্যে আঃ জব্বারের ছেলে আঃ হামিদ ১৮ শতক, এছমাইলের ওয়ারিশ ৩০শতক ও ইছামুদ্দীনের ওয়ারিশ ২১ শতক ৷ এসব সম্পত্তি বিভিন্ন স্থানে দেওয়া হয় ৷

পরবর্তীতে ইছামুদ্দীনের ওয়ারিশগন এসব সম্পত্তি বিক্রি করেন ৷ আর আঃহামিদের ১৮ জমিতে দেওয়া হয় এলাকার লোকজনের কবরস্থান থেকে৷ এখন জমির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ওই জমির উপর লোপ পড়ে ইছামুদ্দীনের ওয়ারিশগনের ৷ এছমাইলের ওয়ারিশগন উক্ত জমিতে না আসলেও ইছামুদ্দীন ওয়ারিশগন হামিদের জমি জবর দখলের চেষ্টায় লিপ্ত হয় ৷

তাঁরা নীলফামারী জজকোর্টে ল্যান্ড সাভে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ৷ আদালত মামলাটিতে ১৮ শতকের মধ্যে ৬ শতক জমি তাদের পক্ষে রায় দেন ৷ এদিকে আঃ হামিদ উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রিম-হাইকোর্টের বিভাগে আপিল করেন ৷ যার পিটিশন নং-১৫৪৭২/২৩ ৷

মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত রায় স্থগিত করেন ৷ যার কাগজ নীলফামারী আদালতে পৌঁছালে আদালত ঊভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন ৷ রায় না হওয়া পর্যন্ত যাতে কোন পক্ষ উক্ত জমিতে না যায় ৷

কিন্তু বিবাদী পক্ষ নোটিশ পাওয়ার পর রাতের অন্ধকারে আমজাদ,কাদের ও আবু কালামের নেতৃত্বে তাদের সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনসহ ৪০/৫০ জন লোকজন উক্ত কবরস্থান দখল করে টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলে ৷ এঘটনা দেখতে পেয়ে আঃ হামিদ তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা উল্টো তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন ৷ একা ব্যক্তি আঃ হামিদ তাদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত না হয়ে তিনি প্রশাসনসহ সমাজের সচেতন মহলের কাছে উক্ত কবরস্থান উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন ৷

আঃ হামিদ অভিযোগ করেন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১৮ শতক জমি আমি এলাকার জনসাধারণের কবরস্থানের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি ৷ বিবাদী পক্ষ নীলফামারী আদালতে তথ্য গোপন করে ৬শতকের রায় নিয়েছে ৷ আমি উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে আপিল করেছি ৷

উচ্চ আদালতে আমি অবশ্যই ন্যায় বিচার পাব ৷ উচ্চ আদালত ওই রায় স্থগিত করেছেন ৷ তাঁরা আদালতের নোটিশ পাওয়ার পর রাতের অন্ধকারে লোকজন নিয়ে কবরস্থানের দখল করে টিন দিয়ে ঘিরে নিয়েছেন ৷ আমি জানতে পেরে তাদের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে তাঁরা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন ৷ আমি একা মানুষ তাঁরা সংখ্যায় অনেক তাই তাদের সাথে আমি মারামারি ও ঝগড়ায় কোনদিনও পাবো না ৷

তাছাড়া এখন আমার জীবনের নিরাপত্তা নেই ৷ যেকোন সময় তাদের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারি ৷
যেহেতু ওই জমি এলাকার জনসাধারণের কবরস্থানের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি ৷ তাই এটি উদ্ধার করা প্রশাসন ও এলাকাবাসীর ৷ কবরস্থান উদ্ধারের জন্য আমি প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই ৷

এব্যাপারে কথা হয় ইছামুদ্দীনের নাতি আনোয়ার হোসেনের সাথে তিনি জানান, ৬ শতক জমি আমরা পৈত্রিক সূত্রে পাব ৷ এতদিন ফাঁকা পড়ে ছিল ৷ আমরা আদালতের রায় পেয়েছি ৷ রায় পাওয়ার পর টিন দিয়ে ঘিরে নিয়েছি ৷ এখানেতো প্রশ্ন থাকার কথা না ৷ আমার প্রশ্ন যদি জনসাধারণের জন্য কবরস্থান হয়ে থাকে তাহলে আমার দাদার কবর হাতিখানা কবরস্থানে কেন ? হলো ৷ আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আদালত যে রায় দিবে তা মেনে নিব ৷ এটা আমাদের পারিবারিক ব্যাপারে ৷ হুমকির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ৷ আমরা কোন সংঘাত চাই না সমাধান চাই ৷

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে