আসাদুজ্জামান পাভেল, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় বিস্তীর্ন মাঠ জুড়ে এখন সোনালী ধানের সমারোহ।

যতদূর পর্যন্ত চোখ যায় ততই সবুজে ঢাকা মাঠগুলো অপরুপ সুন্দরে ছেঁয়ে আছে। এই সমারোহ দেখে রঙ্গিন হয়ে উঠেছে কৃষকের স্বপ্ন। এ যেন সোনালী স্বপ্নের ছড়াছড়ি। প্রতিদিনই পাল্টে যাচ্ছে মাঠে থাকা ধানের চেহারা। নতুন ধানের আগমনী বার্তা কৃষকের পরিবারে এনেছে আনন্দের ঢেউ।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা কোনো বিপর্যয় না ঘটলে ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন ডিমলা উপজেলার হাজারো কৃষক। এখন গোটা উপজেলা জুড়ে মাঠে মাঠে সবুজ সমারোহে পূবালী বাতাসে সোনালী ধানের শীষ হাওয়ায় দুলছে। ধানের গাছগুলো সবুজের আভা কেটে হলুদ বরণ ধারণ করেছে। আর সোনালী এই ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে উঠছে কৃষকেরা।

বিগত বছরগুলোতে উপজেলায় বোরো ধানের ফলন এবং দাম ভাল পাওয়ায় চলতি মৌসুমে বোরো ধান চাষকে ঘিরে মাঠে মাঠে যেন উৎসব শুরু হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় বিস্তৃীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে হিমেল হওয়ায় দোল খাচ্ছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন। প্রতিটি শীষে যেন কৃষকের জীবনের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন নির্ভর করছে। মাঠের বোরো ধান কয়েকদিনের মধ্যে মাড়াই শুরু হবে।

কৃষকেরা জানান গত বছর বোরো চাষ করে দাম ভালো পেয়েছিলাম। এবারও সেই আশায় বোরো ধান রোপণ করেছি আমরা। ইতোমধ্যে ধানে পাক ধরেছে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই ধান কাটাশুরু করতে হবে।
ডিমলা সদর ইউনিয়নের কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, এবছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, সরকারী ভাবে যদি ন্যায্য মূল্য পাই তাহলে আমরা বেশ উপকৃত হবো।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ২শত ৫৪ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ১১ হাজার ২শত ৬০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন, এ বছরে আবহাওয়া ভালো থাকায়, খড়া মৌসুমে রৌদ্রের তাপেও ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।

এছাড়াও ইতোমধ্যে কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছেন। আশা করছি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসার আগেই পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে