ডেস্ক রিপোর্টঃ আইন অনুযায়ী ঘাতক চালকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, তোমাদের বার্তা দেশব্যাপী পৌঁছে গেছে। তোমাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। কাজেই তোমরা অবরোধ তুলে নাও, ক্লাসে ফিরে যাও।

আজ বুধবার বিকাল ৩টায় সচিবালয়ে তিন মন্ত্রীকে নিয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখন থেকে সড়কে ফিটনেসবিহীন, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি যাতে না চলে, আমরা সেই ব্যবস্থা করব। বাস টার্মিনালেই এসব পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, গাড়ির ফিটনেস না থাকলে সেটি টার্মিনাল থেকে বের হতে দেয়া হবে না। একইভাবে চালকেরও লাইসেন্স পরীক্ষা করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী রাস্তায় থাকবে। যে গাড়িটি সন্দেহ হবে, সেটিকেই তারা চ্যালেঞ্জ জানাবে। সব কিছু ঠিকঠাক দেখাতে না পারলে তা আটকে দেয়া হবে। এছাড়া শ্রমিক ও গাড়িচালকদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে মালিকরা ব্যবস্থা নেবেন। কোনো চালক কিংবা পরিবহন অবৈধ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হলে সেগুলো দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সন্তানদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেন। সারা দেশ অচল হয়ে গেছে। এটি কারও কাম্য হতে পারে না।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এবার অবরোধ তুলে নেবেন বলেই আমরা মনে করছি। আমাদের ছোট ছোট শিশুরাও গাড়ি ভাঙচুর করতে চায় না। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, চার দিনের বিক্ষোভে ৩০৯টি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। আটটি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তার মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও রয়েছে।

বৈঠকে ছিলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পুলিশের আইজিপি জাভেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, বাস মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী প্রমুখ।

B/P/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে