নারায়ণগঞ্জ থেকেঃ কুর্মিটোলায় বাস চাপায় ২ কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা ও তা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে শাহজাহান খানের বক্তব্যের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া শহীদ মিনার এলাকায় জড়ো হতে থাকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে নারায়ণগঞ্জ শহর অবরোধ করে রেখেছে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কলেজ এর শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যান্য কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অবরোধে অংশ নিয়েছে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা দুটি বাসের গ্লাস এবং ১ টি প্রাইভেট গাড়ির লুকিং গ্লাস, ভাংচুর করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি কামরুল হাসান, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক ইন্সপেক্টর (অপারেশন) জয়নাল আবেদিন সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। শিক্ষাথীরা সাইনবোর্ড লিংক রোডের রাস্তা, সিদ্ধিরগঞ্জে যাতায়াতের রাস্তা, পাগলা – ফতুল্লা যাতায়াতের রাস্তা, শহরের নিতাইগঞ্জের দিকের রাস্তাসহ সমস্ত চাষাড়া চত্তর অবরোধ করে রেখেছে।

এক পর্যায়ে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীরা ট্রেন আটকে দিতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সকাল ১০ টা থেকে এখন পর্যন্ত অবরোধ চলছে।  তারা জানায় তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত তারা তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে। তারা জানতে চায় এই দেশে আইন আছে কিনা, তাদের বাচাঁর আধিকার আছে কিনা।

উল্লেখ্য, আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ৯ দফা দাবিতে রয়েছে – ১. বেপরোয়া ড্রাইভারকে সর্বোচ্চ দন্ড ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে। ২. নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ৩. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. প্রত্যেক সড়কের দূর্ঘটনা প্রবন এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে। ৫. সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। ৬. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগনাল দিলে বাস থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে। ৭. শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ৮. ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্থায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভার রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারবে না। ৯. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী দেওয়া যাবে না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে