ডেস্ক রিপোর্টঃ জেলা সদরের মোগলহাট ইউনিয়নে সবজি চাষ বেড়েছে। এতে করে কয়েক শত কৃষিজীবী শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে সবজিচাষি পরিবারগুলোতে।
জেলা সদর হতে মাত্র ১৫কিলোমিটার দূরে সীমান্তবর্তী গ্রাম মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর চওড়াটারী। এ ইউনিয়নের যেদিকে চোখ যায় শুধু সবজি ক্ষেত আর সবজি ক্ষেত। চাষ হচ্ছে লাল শাক, মুলাশাক, পালংশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পটল, করলা, লাউ, বেগুন, বটবটিসহ নানা জাতের সবজি। প্রতিদিন ট্রাক যোগে সবজি যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তরে। মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুরসহ কয়েকটি গ্রামে কয়েক শত হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। সবজি চাষে কৃষকরা এবারে দাম পেয়েছে। তাই তারা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। আশ্বিণ কার্তিকের মঙ্গা এসব কৃষক পরিবারকে ছুঁতে পারেনি। শত শত হেক্টর জমিতে সবজি চাষের ফলে দিনমজুর কৃষি শ্রমিকরা কাজ পেয়ে দারুন খুশি। শ্রমিকরা দিনে তিনশত টাকা হাজিরার কাজ করছে।
মোগলহাটের কর্ণপুর গ্রামের কৃষক মোঃ রশিদুল ইসলাম (৪৫) জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। তিন দিন পর পর ছয় মণ বেগুন তার ক্ষেত হতে উৎপাদন হচ্ছে। প্রতিমণ বেগুন ক্ষেতেই ১৬শত টাকা মণে (৪০ টাকা কেজি) বিক্রি করছে। কর্ণপুর গ্রামের কৃষক সুরুজ আলী (৫৫) জানান, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আগুর জাতের ফুল কপি চাষ করেছেন। প্রতিকেজি ফুলকপি ৬০ টাকায় জমিতে বিক্রি করছে। মোগলহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, সবজি চাষে তার ইউনিয়নের সুখ্যাতি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সবজি চাষ করে সাধারন কৃষক পরিবার গুলো আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছে।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধুভূষণ রায় জানান,জেলার ৫টি উপজেলায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। সবজি চাষের মৌসুম এখন চলছে।

B/S/S/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে