জুয়েল ইসলাম, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রায় প্রকাশ হওয়ার আগেই ক্ষিপ্ত হয়ে একজন অসহায় বিধবা মহিলার জমি জোরপূর্বক দখল, মারদাঙ্গা, শ্লীলতাহানী ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুরের আকাইদ ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তারাগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪৫)।

বিধবা মঞ্জুয়ারা সেই অভিযোগে বলেন , বিবাদী আকাইদ ইসলাম, আল আমিন, রোকেয়া, লাবনীদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে ৩ শতক জমি নিয়ে ঝগড়া বিবাদ চলে আসতেছে । গত ৫ মার্চ ২০২২ তারিখে আমার বাড়ির সামনে আকাইদ আমার সাথে তর্কাতর্কি করে টেনে হিচরে পাশের একটি দোকানের মধ্যে নিয়ে গিয়ে শাটার বন্ধ করে ধস্তাধস্তি করে কাপড় চোপড় ছিঁড়ে ফেলে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এছাড়াও আল আমিন ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ধরে ও রোকেয়া, লাবনী এলোপাথাড়ি ভাবে মার দাং করে। এরপর চিৎকার করলে প্রত্যক্ষদর্শী দুলালী, হাছান, স্বপ্না ও এলাকাবসী তাকে উদ্ধার করেন।

মঞ্জুয়ারা বলেন, ঘনিরামপুর মৌজার জে এল ১৭, আর এস খতিয়ান নং ৭৮, নতুন দাগ ১৩৮০ এর ১৬ শতক জমির মধ্যে ৩ শতক নিয়ে উভয় পক্ষের মামলা চলছে বিজ্ঞ জর্জ কোর্টে। কিন্তু সেই জমির দলিল মুলে প্রকৃত মালিক হয়েও আমি আদালতকে সম্মান দেখিয়ে আজব্যধি ঘর নির্মাণ করি নাই । কিন্তু সম্পূর্ন গায়ের জোরে ও সন্ত্রাসী কায়দায় আদালতের আদেশের অপেক্ষা না করে, আমাদের হত্যার হুমকি ও মারদাঙ্গা করে আকাইদ ইসলাম ও তার শরিকরা জমি দখলের চেষ্টা করছেন, ঘরবাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করছেন।

ওই এলাকার বাসিন্দা সাইদুল মণ্ডল বলেন , ওই ৩ শতকের মূল মালিক ছিল পাগলু শেখ । বিভিন্ন হাত ঘুরে বাপের পৈতৃক সম্পত্তি আফসার উদ্দীন, আবিয়া, রেজিয়া, জরিনা, অমিচা ২০০১ সালে মঞ্জুয়ারার কাছে বিক্রি করেন । সেই কেনা জমিতে জোর করে ১লা এপ্রিল সকাল ১১ টার দিকে হঠাৎ আল আমিন ও তার লোকজন ইট বালু এনে বাড়ি করতে চেষ্টা করে। মঞ্জুয়ারাকে আঘাত করেছিল, সে এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, এস আই শ্যামল রায় ও সঙ্গীও ফোর্স । তার উপস্থিতিতেও জোড়পূর্বক ঘর করতে চেয়েছে আল আমিন ও তার মা রোকেয়া।

অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিরোধকৃত এ জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমাদের রয়েছে। তাই আমরা ঘর নির্মাণের চেষ্টা করছি ।

৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রশিদ ও সাবেক মেম্বার মোস্তফা জানান, ১লা এপ্রিলের ঘটনায় উপস্থিত ছিলাম । আল আমিনকে নিষেধ করেছি আপাতত ইট বালু না ফেলার জন্য । আমরা উভয় মেম্বার মিলে বিষয়টি যেন বাড়াবাড়ি না হয় সেই চেষ্টা করছি ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে