ডেস্ক রিপোর্ট : ত্রিদেশীয় সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ১৮২ রানে টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড। টস জিতে অধিনায়কের ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্তটা যথার্থ প্রমাণ করেছেন বোলাররা। আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ মুস্তাফিজের ৪ উইকেট শিকারের ফলে আয়ারল্যান্ডকে ১৮১ রানে আটকে ফেলেছে বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। সবুজ উইকেটে রুবেল হোসেনের প্রথম ওভারটি মেডেনের পর দ্বিতীয় ওভারেই মেডেনসহ ১ উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের বলটি মারতে গিয়ে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন পল স্টার্লিং।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে আয়ারল্যান্ড। দুই পেসার মুস্তাফিজ-রুবেলদের উপড় চড়াও হয়ে চাকা সচল করতে থাকে অধিনায়ক পোর্টারফিল্ড। তবে মাশরাফির বলে জীবন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পরেননি আইরিশ অধিনায়ক। পরের ওভারেই মোসাদ্দেককে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে যান পোর্টারফিল্ড। পোর্টারফিল্ডের বিদায়ের পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারলেন না ব্যালবিরনি। সাকিবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ রান।
চতুর্থ উইকেটে নিয়াল ও’ব্রায়ানকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন ইনজুরি থেকে ফেরা জয়সে। গড়ে তোলেন ৫৫ রানের জুটি। তবে এরপরই বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের বলে তামিম ইকবালের চমৎকার ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে জীবন পাওয়া নিয়াল ও’ব্রায়ান।
এদিকে চোট কাটিয়ে ফিরে বিপর্যয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়সে। নিজেও পৌঁছে গিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি। তবে ব্যক্তিগত ৪৬ রান করে অভিষিক্ত সানজামুলের বল লং অন দিয়ে উড়াতে মারতে গেলে তামিমের হাতে ধরা পড়েন। আর প্রথম উইকেটের দেখা পান অভিষেক হওয়া সানজামুল। এরপর কেভিন ও’ব্রায়ানকে মোসাদ্দেক হোসেনের চমৎকার ক্যাচে পরিণত করেন মুস্তাফিজ। শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান গ্যারি উইলসনকেও ফিরিয়ে দেন তিনি।
তবে অষ্টম উইকেটে ব্যারি ম্যাককার্থিকে সঙ্গে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়ে দুইশ’র দিকে এগিয়ে যেতে থাকে জর্জ ডকরেল। এ সময় আবার জুটি ভাঙেন সানজামুল। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ম্যাকার্থিকে। এরপর একই ওভারে ডকরেল ও পিটার চেসকে মুশফিকের তালুবন্দি করেন মাশরাফি। আর আইরিশদের ইনিংস শেষ হয় ১৮১ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজের ৪ উইকেট ছাড়াও মাশরাফি ও সানজামুল নেন ২টি করে উইকেট। সাকিব ও মোসাদ্দেক নিয়েছেন একটি করে।
বি/এস/এস/এন
