ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশের মেধাবী ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক র‌্যাবের দেশব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা জানান।মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সমান তালে অভিযান চলবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। আমাদের ভবিষ্যৎ মেধাকে রক্ষা করতে মাদক দমন করতেই হবে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ-র‌্যাব সর্বত্র অভিযান পরিচালনা করছে এবং এটা সবসময় চলবে। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের মতো মাদক ব্যবসায়ী এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার কথাও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সর্বত্র প্রচারণাসহ যা যা করা দরকার সবকিছু করা হবে। পাশাপাশি অভিযান চলবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে যে কোনো মূল্যে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।

সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশব্যপী ১০ লাখ পোস্টার-লিফলেট বিতরণের কথা জানিয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জাতিগত যুদ্ধ করতে হবে। ’৭১ সালের পর জাতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অনেক বড় বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। এবারও আশা করি এর একটা ভালো ফলাফল পাব, মানুষ বিজয়ী হবে।

মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদকের খুচরা বিক্রেতা থেকে শুরু করে ডিলার সে যেই হোক, তাকে এ পেশা ছাড়তে হবে। হু এভার, হোয়াট এভার, হয়ার এভার, কেউ আমাদের অপারেশনের বাইরে নয়। মাদকের শিকড়-বাকড়সহ তুলে নিয়ে আসব।

মাদকে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব ডিজি বলেন, ওইসব হাত থেকে আইনের হাত অনেক বড়। রাষ্ট্রশক্তি অনেক বড় শক্তি। দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হলে যে কোনো অপশক্তি পরাজিত করার ক্ষমতা আমাদের আছে। তিনি বলেন, ২০ বছরের সমস্যা ২০ দিনে সমাধানের প্রত্যাশা করবেন না। কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপ আমাদের টার্গেট নয়। মাদকসেবী থেকে মাদক ব্যবসায়ী, বিশেষ করে মাদক ব্যবসায়ীরাই আমাদের টার্গেট।

বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীরা নিহত হচ্ছে, এভাবে কি মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জাতিগত ঐক্যের কথা বলছি। আমাদের অপারেশনের স্কোপ কত বড় হবে সেটা বলেছি। কোনো নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নয়, আইন অনুযায়ী সব ব্যবস্থায় আমরা মোকাবেলা করব। মাদকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হচ্ছে। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই হাজারের বেশিজনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে। আইনের সবদিক ব্যবহার করে সবাই মিলে দেশকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দেন তিনি।

J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে