ডেস্ক স্পোর্টসঃ বাসেলকে উড়িয়ে দিয়ে ইউরো ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে গেল ম্যানচেস্টার সিটি।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত লীগের শেষ ষোলর প্রথম লেগের ম্যাচে স্বাগতিক বাসেলকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষ পয়েন্ট সংগ্রহকারী পেপ গার্দিওলার দল। মাত্র ৯ মিনিটের ব্যবধানেই বাসেলকে উপড়ে ফেলে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে ইংলিশ জায়ান্টরা। এই সময় একে একে গোল করে স্বাগতিক দলকে নাস্তানাবুদ করে দেন সফরকারী দলের তিন নক্ষত্র ইলকি গান্ডোগান, বার্নার্দো সিলভা ও সার্জিও এগুয়েরো।

১৪তম মিনিটে শুরু হওয়া গোলের উৎসব প্রথমিকভাবে শেষ হয় ২৩তম মিনিটে। এই সময়ের মধ্যেই ০-৩ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাসেল। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে হতশ্রী বাসেলকে আর মাত্র একটি গোল হজম করতে হয়েছে। যে গোলটি করেছেন সিটিজেনদের সূচনা এনে দেয়া জার্মান মিডফিল্ডার গান্ডোগান।
চলতি বছর ১১ ম্যাচে এটি ছিল এগুইরোর ১৪তম গোল।

খেলা শেষে জোড়া গোলের মালিক গান্ডোগান বলেন, ম্যানচেস্টার সিটির আরো অনেক কিছু দেখানোর বাকি আছে। বাসেলের গোলরক্ষক টমাস ভাসলিকের প্রতিবন্ধকতায় হ্যাট্রিক থেকে বঞ্চিত হওয়া এই সিটি তারকা বলেন, ‘ম্যাচের এ ফলটি একেবারেই নিখাঁদ। তবে দলের উন্নতি করার আরো অনেক কিছু এখনো রয়ে গেছে।’
এই ম্যাচে জয় পেলেও আগামী ৭ মার্চ ইত্তেহাদ স্টেডিয়ামের ম্যাচের ফলাফলের পরই নির্ধারিত হবে কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট। ২৭ বছর বয়সি গান্ডোগান নিজের প্রথম গোল প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার পেছনেই প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ছিল। যে কারণে গোল আদায় করা খুব একটা সহজ ছিলনা। কেভিন ডি ব্রুইয়ানের কাছ থেকে যথাসময়েই বলটি আমার কাছে এসেছে এবং সঠিক সময়েই আমি সেটি জালে জড়িয়ে দেই।’
ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়েও অনেকটা এগিয়ে ছিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

৬৯ শতাংশ সময় তাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল বল। কাতালান কোচ বলেন, ‘শেষ ষোলর বৈতরণী পার হবার জন্য এ্যাওয়ে ম্যাচে ৪-০ গোলের জয়টি দারুন ব্যাপার। আমরা অনেকটাই কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে এটি বলবনা যে আমরা শেষ আটে পৌঁছে গেছি। দল হিসেবে অবশ্যই বাসেলকে সমীহ করতে হবে। আমরা যদি কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাতে পারি তাহলে সেটি হবে গত আসরের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি ভাল। আর সেটি হবে শিরোপার পথে আমাদের প্রথম ধাপ।’ এসময় গান্ডোগান সহ দলের মধ্যমাঠের প্রশংসা করেন এই স্প্যানিশ। এদের মধ্যে ইনজুরি কাটিয়ে বদলি হিসেবে ফেরা ডেভিড সিলভাও ছিলেন। সিটি কোচ বলেন, ‘ছয় থেকে সাত মাস আমরা তাকে (সিলভা) পাইনি। তিনি বিশেষ মানের অধিকারী। ডি ব্রুইয়ান ও সিলভা সহ মধ্যমাঠের ওই তিন তারকা অসাধারণ খেলেছে এবং গোলের যোগান দিয়েছে।’

ম্যাচের ১৪তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইয়ানের কর্নারের বলে দর্শনীয় হেডের মাধ্যমে গোল উৎসবের সূচনা করেন গান্ডোগান (১-০)। চার মিনিট পর বাঁ-দিক থেকে রাহিম স্টার্লিংয়ের ক্রসের বল স্বাগতিক এক ডিফেন্ডারের মাথা ছুঁয়ে ফাঁকায় পেয়ে কোণাকুনি শটে ব্যবধান বাড়ান পর্তুগিজ মিডফিল্ডার সিলভা (২-০)। ২৩তম মিনিটে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে আচমকা নিচু শটে স্কোরশিটে নাম লেখান এগুয়েরো । দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে দ্বিতীয় গোলের সাহায্যে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করেন গান্ডোগান। আগুয়েরোর পাস থেকে বল পেয়ে এক জনকে কাটিয়ে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে উঁচু শটে পোস্ট ঘেঁষে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন জার্মান মিডফিল্ডার।

 

 

 

 

 

 

B/S/S/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে