ডেস্ক রিপোর্টঃ মিষ্টি, ফার্নিচার, মেলার হাঁক-ডাকে, আর মাছের কেনা-কেটার মধ্যে দিয়ে শেষ হল দুইশত বছরের ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা। এ মেলায় ১০০ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ, ৩০ কেজি ওজনের কাতলা, ৩৭ কেজি ওজনের সিলভার কার্প, বোয়াল মাছ ১৮ কেজি, গাঙ্গ চিতল ১২ কেজিসহ নানা নামের নানা ওজনের মাছে মাছে ভরে ছিল পোড়াদহ মেলায়। মাছের পাশাপাশি মিষ্টি ও ফার্নিচারের মেলাও বসে জমজমাট হিসেবে। দুইশত বছরের এ মেলাকে ঘিরে প্রায় ৩০ গ্রামের মেয়ে ও মেয়ে জামাইদের করানো হয় বড় মাছ ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন। প্রায় কোটি কোটি টাকার কেনাবেচা হয়ে থাকে এ মেলায়।

জানা যায়, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা। পাশ্ববর্তী উপজেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয় এ মেলা প্রাঙ্গন। প্রায় ২’শ বছর আগে থেকে সন্ন্যাসী পূজা উপলক্ষে গাবতলীর গোলাবাড়ী বন্দরের পূর্বধারে গাড়ীদহ নদীর পশ্চিমপার্শ্বে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে একদিনের জন্য মেলাটি হয়ে আসছে।

এবারের মেলায় শত কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছের দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে কেউ এককভাবে মাছটি ক্রয় না করায় কেটে বিক্রি করা হয়। মাছটির প্রতি কেজি বিক্রি করা হয় ১২ শত টাকা কেজি।

আজ সকাল ১০ টার দিকে ৮০ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ কেটে বিক্রি শুরু হয়। মাছ ও মিষ্টির জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠা এই মেলায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠে।

মাছ ব্যবসায়িরা জানান, মেলায় স্থানসংকুলান না হওয়ার কারণে প্রায় ১ কোটি টাকার মাছ বাজারে নেয়া হয়েছে। এই মাছ এখানেই বিক্রি হবে।

বগুড়া শহরের মারতিনগরের আলমগীর হোসেন জানান, পোড়াদহ মেলায় স্থান না পাওয়ার কারণে ফতেহ আলী বাজারে তারা মাছ বিক্রি শুরু করেছেন। মেলায় ১০০ কেজির পাশাপাশি এই বাজারেও বিভিন্ন ধরনের ও সাইজের মাছ বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় সমাজসেবক লুৎফর রহমান সরকার স্বপন জানান, হাজার হাজার মানুষের পদচারণা হয়ে থাকে এ মেলায়। তবে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির কারনে এবার স্বল্প পরিসরে মেলা বসেছে। তারপরেও উৎসব থেমে নেই। জামাই মেয়েসহ আত্মীয় স্বজনদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা।

বগুড়ার গাবতলী মডেল থানার ওসি খায়রুল বাসার বলেন, পোড়াদহ মেলাটি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্বারা কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন প্রকার জুয়া কিংবা অশ্লীল নাচ-গান করার চেষ্টা হলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তিনি জানান, বিভিন্ন উপজেরার পাশাপাশি জেলা থেকেও সাধারণ মানুষ মেলায় এসেছেন। তাদেরও নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

B/D/P/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে