এম ডি বাবুল: বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন পৌরসভা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাসায় অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ০১০০ ঘটিকায় ফেনী পৌরসভারস্থ মাইশা টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ আবুল হাশেম সোহাগ (৩৮), পিতা- মোঃ আবিদ আলী, সাং-উত্তর বেতিয়ারা, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামির দেখানো ও সনাক্তমতে ফ্ল্যাটের কাঠের ইন্টেরিয়র এর ভিতর বিশেষ কৌসলে রক্ষিত এবং গ্যারেজে থাকা তার ব্যবহৃত মাইক্রোবাস হতে সর্বমোট ২৭,৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ আসামিকে গ্রেফতার এবং মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।

আটককৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে সুকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য (ইয়াবা) কক্সবাজার হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৮২ লক্ষ টাকা।

গ্রেফতারকৃত আসামি ও উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে