fatrer-cor

ডেস্ক রিপোর্টঃ ফাতরার চর। ছোট্ট একটি ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা ঘন সবুজ অরণ্যে ভরা চরটিকে মনে হয় সাগরের বুকে একখন্ড সুন্দরবন। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন বনটির মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে অনেকগুলো ছোট বড় খাল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য হওয়ায় জায়গাটি পর্যটকদের কাছে খুব আকর্ষণীয় হয়ে ওঠছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন ফাতরার চর বনটি এক সময়ে সুন্দরবনেরই একটি অংশ ছিল। কুয়াকাটার এ অংশে এসে নাম পেয়েছে ফাতরার বন। স্থানীয় মানুষের কাছে ‘ফাতরা’ শব্দটি গুরুত্বহীনতাকেই বোঝায়। সুন্দরবনের তুলনায় এক সময়ে এ বনটি তাই ছিল। কিন্তু বর্তমানে ফাতরার বনের আকর্ষণ তার সেই গুরুত্বহীনতাকে দূর করে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করেছে।
লবণাক্ত ও মিষ্টি মাটির অপূর্ব মিশ্রণের কারণে এ বনে দেখা যায়, বিলুপ্ত প্রজাতির অসংখ্য সারি সারি গাছ, পশু-পাখি এবং সরীসৃপের বসবাস। বনের সবুজ অরণ্যের মাঝে প্রবাহিত অসংখ্য ছোট খালের ওপর রয়েছে বাঁশের সাঁকো, বন বিভাগের রেস্ট হাউস, মিঠা পানির পুকুর, পিকনিক কর্নার। ঘন অরণ্যে মিশেছে সাগর সৈকতে। সাগরের বিশালতার মাঝে সবুজ এ অরণ্য মুগ্ধ করে ভ্রমণপিয়াসী মানুষকে।
ফাতরার বনকে ১৯৬০ সালে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা করা হয়। ১৯৬৭ সালে নামকরণ হয় টেংরাগিরি বন নামে। কুয়াকাটা সৈকত ঘেঁষে এ বনের আয়তন ১৩ হাজার ৬৪৪ একর। এটি সুন্দরবনের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় অরণ্য।
পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অজিত কুমার জানান, বন্যপ্রানীর স্বাভাবিক বিচরণ যাতে বিঘ্নিত না হয় সেদিক বিবেচনায় রেখে প্রকৃতি প্রেমী পর্যটকের জন্য ভ্রমণের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে