ডেস্ক রিপোর্ট: নীলফামারীর ডোমার সেভেন ষ্টার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সিজারের সময় নবজাতক কন্যা শিশু সুস্থ্য থাকলেও মৃত্যু হয় প্রসুতির। প্রসুতি মেঘলা বেগমের মরদেহ তড়িঘড়ি করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা প্রতিহত করে রোগীর স্বজনেরা। এ ঘটনায় স্বামী রবিউল ইসলাম ডোমার থানায় চারজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করলেও এখনও আইনী পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। এ মৃত্যুকে হত্যাকান্ড আখ্যায়িত করে আজ সকালে খেরকাটি বাজারে বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজন আর এলাকাবাসী।

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের পাইটকাপাড়া এলাকার রবিউল ইসলাম তার স্ত্রী মেঘলা বেগমকে প্রসব ব্যাথা নিয়ে গত ২০সেপ্টেম্বর রাতে ভর্তি করায় ওই ক্লিনিকে। সিজারের জন্য ১৪হাজার টাকা চুক্তি হলে নগদ ২হাজার টাকা পরিশোধ করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে। রাতেই সিজারের সময় প্রসুতি মেঘলা বেগমের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরদিন তড়িঘড়ি করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো চেষ্টা করে। তবে রোগীর সাথে থাকা স্বজনরা তা প্রতিহত করে।

রবিউল ইসলাম বলেন,আমার স্ত্রীকে অপারেশন টেবিলে মেরে ফেলছে ্ওর্য়াড বয় রনজিৎ কুমার তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। নিহতের জা মেহের বানু বলেন,সিজার ও সিজার পরবর্তী সময়ে প্রসুতির উপর অকথ্য নির্যাতনে র্তা মৃত্যুর হয়। তার পর আমাকে জোর পুর্বক বলেন রুগিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে হবে, আমি তখন বুঝতে পারি সে মারা গেছে।
আমি যেতে না চাইলে তাদের সাথে কথা কাটা হয়।

নিহতের ভাসুর বলেন,ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী রক্ত দেয়ার পরেও তাদের অবহেলায় অপারেশন টেবিলে মৃত্যুর সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন। প্রতিবেশীরা বলেন,একজন মৃত মানুষকে প্রতারনা করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টার চেষ্টা ন্যাক্কারজনক তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। ডোমার থানার, উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম বলেন, চারজনের নামে মামলা দায়েরের করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিভিল সার্জন,ডা. রনজিৎ কুমার বর্ম্মন বলেন ডোমারের ওই ক্লিনিকে একজন প্রসুতির মারা যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে অফিসিয়ালী জানলে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।

P/B/A/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে