ডেস্ক রিপোর্টঃ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যেতে আগ্রহী ‘এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন’ তথা এ্যানফ্রেল-এর সদস্যদেরকে যথাসময়ে ভিসা প্রদান এবং পরিচয়পত্র ইস্যু না করায় হতাশা প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে উপ-মুখপাত্র রোবার্ট প্যালাডিনো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের এমন আচরণে গভীর হতাশার কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনটি আদৌ আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণের স্বার্থেই আন্তজাতিক এই মনিটরিং মিশনের উপস্থিতি জরুরি ছিল। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ টিম গঠিত হয়েছে ‘ন্যাশনাল ডেমক্র্যাটিক ইন্সটিটিউট’ তথা এনডিআইয়ের তত্ত্বাবধায়নে এবং সমস্ত ব্যয়ভার বহন করছে এনডিআইয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। কিন্তু যথাসময়ে ভিসা ইস্যু না করার পরিপ্রেক্ষিতে ‘এ্যানফ্রেল’ তার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের মিশন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে’।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক টিম না যাওয়ার ঘাটতি পুষিয়ে নিতে স্থানীয় এনজিও’র সমন্বয়ে গঠিত ‘ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ’ সদস্যের পরিচয়পত্র গ্রুত ইস্যু করাটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যাতে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালনে সক্ষম হন। এই গ্রুপের কিছু সদস্যের ব্যয়-ভারও বহন করছে যুক্তরাষ্ট্র তথা ইউএসএইড’।

বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে, ‘যে কোন গণতান্ত্রিক- নির্বাচনেই নিজ নিজ মতামত শান্তিপূর্ণভাবে প্রকাশের সুযোগ অবশ্যই থাকতে হয়। একইভাবে সভা-সমাবেশও অবাধে করতে হয়, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক চর্চার কতটা উন্নতি সাধিত হচ্ছে তাও স্বাধীন গণমাধ্যমের খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারিদের তথ্য জানার অধিকার থাকতে হবে, এবং সকলেরই হয়রানি-ধমকানি এবং ভয়-ভীতিহীন পরিবেশে নির্বাচনী সভা-সমাবেশ করা ও ভোট প্রদানের সুযোগ পেতে হবে’।

‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সকল বাংলাদেশি নিজেদের মতামত নির্বিঘ্নে প্রকাশ করবে এবং দ্বিধাহীন চিত্তে কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে-এমন চমৎকার পরিবেশের যে অঙ্গিকার বাংলাদেশ করেছে তা সমুন্নত রাখতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছি’।

B/P/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে