stethoscope on blue background with space for simple text

ডেস্ক রিপোর্টঃ খাবার ঠান্ডা হোক বা গরম, শিরশিরানির জন্য সে খাবার মুখে তোলার আগেই ভাবতে হয় আপনাকে? দাঁতের এই শিরশিরানির সমস্যা আপনার একার নয়। দাঁতের এই সমস্যাকে প্রথম অবস্থায় তেমন আমল দিই না আমরা, কিন্তু অবহেলা করতে করতে এই বিষয়টি কিন্তু বেশ কষ্ট দিতে শুরু করে।

দন্তচিকিৎসক পৃথা বসুর কথায়: ‘‘দাঁতের শিরশিরানি অবহেলা করা একেবারেই উচিত নয়। এনামেল ও দাঁতের রুটের নানা সমস্যার কারণে এই উপদ্রব শুরু হয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশ কিছু ভুলও এই সমস্যার জন্য দায়ী। শরীরে অ্যাসিড জমা থাকলে, ব্রাশ করা ভুল থেকে বা দাঁত ভেঙে গেলে, পুরনো ফাইলিংয়ের কারণেও এমনটা হতে পারে। এ ছাড়াও এই সমস্যার আরও কিছু কারণ রয়েছে। তবে চিকিৎসা করালে এই সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। যত দ্রুত সম্ভব এটাকে গুরুত্ব সহকারে যত্ন নেবেন, উপকার পাবেন ততই।’’

অনেকেই নানা টুথব্রাশ, টুথপেস্ট ও মাউথওয়াশ পাল্টে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চান। তবে তাতে সব সময় যে সমাধান মেলে এমন নয়। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পাশাপাশি বরং মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া উপায়। এতেও সমাধান মিলতে পারে এই সমস্যার।

মধু ও নুন: এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ মধু ও সামান্য নুন মেশান। সকালে মুখ ধোওয়ার পর এই জল দিয়ে কুলকুচি করুন। জল মুখে রেখে নাড়াচাড়া করে ফেলে দিন।

নুন পানি: মধু ছাড়া স্রেফ নুন দিয়েও কাজ সারা যায়। দাঁতের জন্য নুন-পানি খুবই উপকারী। দু’বেলা নুন পানিতে কুলকুচি করুন। এতে দাঁতের ফাঁকের খাবার ধুয়ে যায় তো বটেই, সঙ্গে দাঁতের ছোটখাটো সমস্যা, দাগ এ সবও অনেকটা ফিকে হয়।

ক্যাপসাইসিন জেল: কেবল লঙ্কায় কতটা ঝাল থাকবে তা-ই নির্ধারণ করে না ক্যাপসাইসিন। বরং প্রদাহ ও ছোটখাটো সংক্রমণ কাটাতেও এটি কার্যকর। ক্যাপসাইসিন রয়েছে এমন মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের ঝালে অসুবিধা আছে তাঁরা ব্যবহার করতে পারেন গ্রিন টি। চা তৈরি করে ঠান্ডা করে সেই চা দিয়েই কুলকুচি করুন।

লবঙ্গ তেল: লবঙ্গ তেল দাঁতের গোড়ায় লাগিয়ে রাখলে বিশেষ উপকার পাবেন। ইউজেনল থাকায় এটি দাঁতের ব্যথা উপশম করে। গ্রিন টি-তে লবঙ্গ ফেলে সেই মিশ্রণ দিয়েও কুলকুচি করতে পারেন।

পিবিএ/এমএসএম

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে