স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর দক্ষিণখানের কসাইবাড়ি বাজার মোক্তারের খাবারের হোটেল (রেস্টুরেন্টে) গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারীসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। পরে তাদেরকে উদ্বার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার বিকেলে দক্ষিণখানের কসাইবাড়ি বাজার রেলগেট এলাকায় মোক্তারের খাবার হোটেলে এ অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন মোছা. গৃহিণী মারিয়া আক্তার (২২), তার আত্নীয় মো. নবীন (২৫), দোকান কর্মচারী মো. মামুন অর রশীদ (২৭), মো. শান্ত (১৮), মো. মজিবুর (৫১) ও মো. মোক্তার (৩৫)।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় ডিএমপির দক্ষিণখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রহমান এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্হানীয় লোকজন জানায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কসাইবাজার রেলগেট এলাকায় মোক্তারের খাবারের হোটেলে সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাইপ খুলে নতুন সিলিন্ডারে লাগানোর সময় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় হোটেলের কর্মচারী ও ক্রেতাসহ মোট ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ও চিকিৎসা করা হয়েছে।

দগ্ধ মারিয়ার আত্নীয় আশিক মাহমুদ জানান, তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মারিয়া এবং খালাতো ভাই নবীন। বিকেলে তারা দুই জন দক্ষিনখানের কসাইবাজার রেলগেট সংলগ্ন একটি খাবারের দোকানে গিয়েছিল আলুর চপ, বেগুনি কিনতে। সে সময় সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তারা কসাইবাজার ক্যাবের কলোনিতে থাকতো।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, দক্ষিনখান থেকে প্রথমে তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে দগ্ধ অবস্হায় আরও তিনজনসহ মোট ৬ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্হা গুরুতর বলে জানা গেছে।

এদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস, এম আইউব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দক্ষিণখানে দগ্ধ ছয়জনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। মারিয়ার শরীরের ২৫ শতাংশ, নবীনের ৩৫ শতাংশ, মামুনের ২২ শতাংশ, শান্তর ১৬ শতাংশ, মুজিবুরের ২৫ শতাংশ ও মোক্তারের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদেরকে শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে