মারুফ সরকার ,বিশেষ প্রতিনিধি  : যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন তাইজুল ইসলাম চৌধুরী (বাপ্পি)। অনেকের অভিযোগ তিনি বর্তমানে পল্লবীর পলাশ নগর, বাউনিয়াবাধ, ঝুটপট্টি, বিহারি ক্যাম্প গুলো, পল্লবী থানা রোড, মিরপুর ১২, টেকের বাড়ী, সাগুপতার মোড় সহ ও রূপনগর থানাধীন দুয়ারীপাড়া, শিয়াল বাড়ী, মিরপুর ৭ নম্বর, মিরপুর ৬ নম্বর, হাউজং এলাকায় নিজের দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করছেন।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানি লন্ডারিং করা অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তরের এক অংশের নিয়ন্ত্রণ আসে বাপ্পির হাতে। নিজের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করেন তিনি। এজন্য এলাকার মানুষ তাকে অনেক ভয়ও পায়।

এছাড়াও অল্প দিনে কোটিপতি হওয়ার গল্প এখন রিতিমত শোনা যাচ্ছে। এখন কেউ আর সরকারি চাকরি করতে চায় না, যুবলীগের পদ-পদবী কিনেই রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া স্বপ্ন দেখছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২নং ওয়ার্ড বাসিন্দা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগে জানলে চাকরি করতাম না যুবলীগে নাম লিখিয়ে বাপ্পির মত হাজার কোটি টাকার মালিক হতাম চলতাম দামী গাড়ীতে। এলাকা শাসন করতাম সরকারি জমি, গার্মেন্টস রাস্তা ফুটপাত দখল, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা সহ সকল প্রকার অবৈধ কাজ করে মাত্র অল্পদিনে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যেতাম। সেই  বিতর্কিত পল্লবী থানার সভাপতি এখন পদোন্নতি হয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে।’

যেখানে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারী দুজনকেই ইতিমধ্য গনভবনে প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। সেখানে তারাই আবার পদোন্নতির ফরমে সই করেছেন আর সেই সই করা পদোন্নতি ফরম এখন ফেসবুক দুনিয়ায় ভাসছে।

এখন ফেসবুক দুনিয়ায় ভাসছে এই পদোন্নতির ফরম।
তবে লক্ষ্য করা যায়, পল্লবী ও রূপনগরে ব্যাঙ্গের ছাতার মত ভংকর রূপ নিয়ে গজিয়ে উঠছে নব্য যুবলীগ।

রাজধানীর পল্লবী ও রূপনগর জুড়ে নব্য যুবলীগ নেতা কর্মীদের গিজগিজ অবস্থা। পল্লবী এলাকায় জমি কিনা বেচা ও যে কোন বিচার শালিশ হলেই যুবলীগ পরিচয়ে তারা দল বেধে আসে। গোলমাল পাকিয়ে তারা হতিয়ে নেয় মোটা অংকের অর্থ না দিলে হুমকি ধামকি দিয়ে সাধারণ মানুষেদের মনে আতংক গড়ে তুলছে। তাদের লাগামহীন আচার-আচরনে নিরূপায় হয়ে চাহিদা মত টাকা দিতে বাধ্য হয় তারা। রাত হলেই তারা দল বেধে মোটর সাইকেল বহর নিয়ে অলিগলিতে মহড়া দেয় ও পাশাপাশি থাকে পুলিশের সদস্যও।

সরকারি খালি জায়গা দখল করে বস্তি বানিয়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ পানির অবৈধ ব্যবসা করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সরকারের রাজস্ব আয় থেকে। তাদের সহযোগিতা করে স্থানীয় নেতারা।

এমনো দেখা যায়, এলাকায় নিরহ মানুষদের ধরে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এরাই মুলতো কিশোর গ্যাংয়ের লিডার।

তবে ২নং ওয়ার্ডে নব্য যুবলীগের দাপটে দিশে হারা সাধারন এলাকাবাসি। ঐ পোষ্টারিং দেখিয়ে এলাকার সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশকেও চোখে কাঠের চশমা পরিয়ে রাখে তারা। এই দৃশ্যের কপি পল্লবী ও রুপনগর এলাকা জু্রে দেখা যায় অহরহ। এই পোষ্টারিং সাজে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের দেখা যায়।

এরাই মুলত চুরি ছিনতাই মাদকসহ অনেক অপরাধ কর্মকান্ড করেও পার পেয়ে যায় এই ভয়ংকর নব্য যুবলীগরা। এই নব্য যুবলীগরা মুল সড়কের ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে বানিয়েছে ক্লাব। সেই ক্লাবে বসে চলে জুয়া মদ গাজা সেবন ও বিক্রির রমরমা বানিজ্য।

এদের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে, কেউ ছিলো টোকাই কেউ ছিলো চোরের লিডার, কেউ বা কিশোর গ্যাংয়ের বস। অনেকেই বারোমাস পোষ্টারিং করাই এদের মুল পুজি।

এরা কিভাবে চলে চাকরি নাই, ব্যবসা নাই, তার পরেও এরা নতুন নতুন মোটর সাইকেল নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। ধীরে ধীরে নব্য যুবলীগের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে ত্যাগী যুবলীগ নেতা কর্মীরা। বদনামের সাগরে ভাসছে আওয়ামী যুবলীগের মত শক্তিশালী দল। ঠিক তদন্ত করে যুবলীগের পদপদবী দেওয়া কথা জানালেন ২নং ওয়ার্ডের অবহেলিত যুবলীগ নেতা কর্মীরা।

সূত্র ও তথ্য : বাংলাদেশ একাত্তর ডটকম

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে