মারুফ সরকার : বিনোদন প্রতিনিধি : ব্রান্ড মডেল থেকে অভিনেত্রী হওয়া শর্মী ইসলাম জানালেন, তিনি এবার আসমানী ছবির নির্মাতা এম সাখাওয়াৎ হোসেনের টেলিফিল্ম খেয়া’-তে কাজ করেছেন। তার চরিত্রটির নাম সুমনা। এই টেলিফিল্মটিতে দু’জন নায়িকা রয়েছেন। অপর নায়িকা হলেন ফারজানা রিক্তা। সুমনা চরিত্রের অভিনেত্রী শর্মী জানান, টেলিফিল্মটি অত্যন্ত যত্ন নিয়ে নির্মাণ করেছেন পরিচালক। সবুজ বনানী ঘেরা শাশ্বত বাংলার গ্রাম জীবনের চিরন্তন রুপ কাব্যিক চিত্রকল্পে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন তিনি। বাংলার গ্রাম জীবন বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবুজের সম্ভারে সাজানো খাল-বিল, নদী নালা, ধানের ক্ষেত, নৌকা, খেয়াঘাট ইত্যাদি। কবি জীবনান্দ দাশ একে বলেছেন রুপসী বাংলা। আর বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার রুপকে খুঁজেছেন শুকনো বাঁশ পাতার মচমচে শব্দের মাঝে। বাংলার গ্রাম জীবনকে লেখকরা যেভাবেই দেখুক না কেন, এদেশে প্রকৃতি এবং তার খেয়াল খুশির ওপর মানুষের জীবন অনেকাংশেই নির্ভরশীল। নদীর মর্জি মাফিক জীবন যাপন করতে হয় পাড়ের মানুষগুলোকে। প্রযুক্তি আর আধুনিক জীবনধারার উন্নতি যতই হোক না কেন নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে পারছেন না কেউই।
খেয়া নামের এই টেলিফিল্মটিকে এম সাখাওয়াৎ হোসেন প্রথমে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্যই প্রস্তুত করেছিলেন। পরে সেটিকে তিনি টেলিফিল্ম হিসেবে নির্মাণ করেছেন। জানা গেছে তিনি চলচ্চিত্রের জন্য অন্য গল্প নিয়ে চিত্রনাট্য লিখছেন। শর্মী ইসলাম জানান, খেয়া একটি লোকজ প্রেমের গল্প। একইসঙ্গে জীবন সংগ্রামেরও। এক সময় আমাকে সংসার চালাতে নৌকার মাঝিও হতে হয়।
খেয়া নামের এই টেলিফিল্মটির ইংরেজী সাবটাইটেলও হবে। স্বপ্ন মিউজিক প্রযোজিত এই টেলিফিল্মটি স্থানীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল ছাড়াও দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ছয়টি দেশে প্রদর্শিত হবে।  
অভিনেত্রী শর্মী ইসলাম খেয়া টেলিফিল্মটি ছাড়াও গত কয়েকদিনে তিনি মৎস্য অধিদপ্তরের দুটি নাটক, ইউটিউবের জন্য পাঁচটি শর্টফিল্ম, আটটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে