ডেস্ক রিপোর্টঃ নুতন করে সংস্কার শেষে ক্রমেই ব্যস্ত হয়ে উঠেছে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কটি। এছাড়া সপ্তাহের শেষ থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের ছুটি। ফলে সড়কে আরো বেশি ব্যস্ততা বেড়ে যাবে । এরই সাথে বেড়ে যাবে দূর্ঘটনা ঘটার আশংকাও।

সড়কটির সবচেয়ে দূর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত যে কয়েকটি স্পট রয়েছে তার মধ্যে বাগড়া বাজার সংলগ্ন বিশাল বালু মহাল এলাকা অন্যতম। চাঁদপুর লক্ষ্মীপুর নোয়াখালী জেলায় এই বালু মহাল থেকেই নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত বালু সরবরাহ হয়। ফলে গত এক দশক ধরেই এই এলাকায় বালু ব্যবসা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কিন্তু চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে এই বালু মহালগুলো গড়ে উঠায় দূর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহন গুলোর চালকরা জানায়, বালু মহালে বালি ভরাট করার সময় রাস্তার মধ্যে বালি ও পানি এসে পড়ে। তাছাড়া সর্বদা বালিবাহী গাড়ী বালু আসা যাওয়ার মধ্যে থাকায় বালু মহাল থেকে বেরুনো গাড়ী ও সড়কের দুই পাশ থেকে আসা যাওয়া গাড়ী গুলোর মধ্যে ত্রিমুখী সংর্ঘষ ঘটার আশংকা থেকে যায়। সম্প্রতি ওই এলাকায় এই ধরনের ত্রিমুখী সংর্ঘষে ঘটনাস্থলেই জামাই শশুড় নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বালির বিশাল স্তুুপের কারণে দুর থেকে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনগুলোও ঠিকমতো দেখা যায় না।
তাছাড়া বালু মহাল ছেড়ে আসা গাড়ীগুলো থেকে রাতে ও ভোর বেলা বেপোরোয়া ভাবে চলাফেরাও দূর্ঘটনা ঘটার আরেকটি কারণ।
স্থানীয় লোকজন ও যাত্রীরা জানায়, প্রশাসনের উচিত বালু মহালের বালু ও পানি যেন সড়কে এসে না পড়ে। একই সাথে সড়ক থেকে একটি নিদিষ্ট দুরত্বে তাদের বালু মহাল করার নির্দেশনা জারি করা।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিকল্প ও সংক্ষিপ্ত সড়ক হিসেবে মতলব হয়ে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কটি ব্যবহার করে যানবাহন গুলো । একই সাথে চাঁদপুর-ঢাকা লঞ্চে যাতায়ত করার জন্য ফরিদগঞ্জ , রায়পুর, রামগঞ্জ, লক্ষ¥ীপুর ও নোয়াখালী জেলার লোকজন এই সড়কটি ব্যবহার করে।

পিবিএ/এমএ/হক

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে