_91059387_ede8c999-576d-402e-be67-446bb5632d5e

বিডি নীয়ালা নিউজ (০৮ই সেপ্টেম্বর ২০১৬)- ডেস্ক রিপোর্টঃ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জের রায়ে ‘জিয়াউর রহমান আর্মি রুলস ভঙ্গকারী অবৈধ দখলদার রাষ্ট্রপতি’ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিজ্ঞ বিচারক সংকটের কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৭৫ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায়ে ভিন্নমত পোষণকারী বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর এই অভিমত জানা গেছে।
ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে দুই বিচারপতির দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ১১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারী বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের রায় প্রকাশিত পায়।
গত ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এতে বিচারপতি আশরাফুল কামাল ভিন্নমত পোষণ করেন। রায়ে তিনি উল্লেখ করেন, ‘অভিজ্ঞ বিচারকের সংকট দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। তাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অবসর গ্রহণের বয়স ৭৫ বৎসরে উন্নীত করা অপরিহার্য।’ এই উদ্দেশ্যে মহান জাতীয় সংসদের নিকট সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছদের (১) উপ-ধারা সংশোধনপূর্বক বিচারকদের অবসর গ্রহণের বয়স ৬৭-এর স্থলে ৭৫ করার প্রস্তাব করেন তিনি।
সর্বশেষ ২০০৪ সালের ১৬ মে চতুর্দশ সংশোধনীতে বিচারপতিদের অবসর গ্রহণের বয়সীমা ৬৫ থেকে ৬৭ করা হয়।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে এ রিট আবেদন দায়ের করেন।
এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর এ সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। গত বছরের ২১ মে রুলের শুনানি শুরু হয়। গত বছরের ১০ মার্চ এ রুলের শুনানি শেষে ৫ মে রায়ের দিন ধার্য করা হয়।
১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে থাকলেও পরবর্তী সময়ে ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের কাছে। ষোড়শ সংশোধনীতে সেটা বাতিল করে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয় সংসদকে।

 

বা/ ট্রি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে