grameenphone

ডেস্ক রিপোর্টঃ টেলিযোগাযোগ আইন ভঙ্গ করে ‘গো’ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য মুঠোফোন অপারেটর গ্রামীণফোনকে ৩০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার সর্বশেষ কমিশন বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল রোববার আর্থিক জরিমানার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘আইন ভঙ্গ করায় গ্রামীণফোনকে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগির বিষয়টি জানিয়ে তাদের চিঠি দেওয়া হবে।’ সেবাটিকে অবৈধ ঘোষণার কারণ হিসেবে বিটিআরসির ব্যাখ্যায় বলা হয়, টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী কোনো মুঠোফোন অপারেটর সরাসরি তাদের অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে এ ধরনের ‘লাস্ট মাইল কানেকটিভিটি’ সেবা দিতে পারে না। অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সর্বশেষ পর্যায়ের সংযোগকে বলা হয় লাস্ট মাইল কানেকটিভিটি।

জরিমানা বিষয়ে বিটিআরসির ব্যাখ্যা হলো, ২০১৪ সালে সেবাটি চালুর পর দুই বছরে গ্রামীণফোন ৩০ কোটি টাকা আয় করেছে। অবৈধ সেবা হিসেবে এ আয়ের পুরোটাই জরিমানা হিসেবে আদায় করা হবে।

সারা দেশে সোনালী ব্যাংকের ৫৫১টি শাখার অনলাইন ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক এই গো ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। গো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোনের সঙ্গে গো ব্রডব্যান্ড সেবায় এডিএন টেলিকম ও অগ্নি সিস্টেমস নামের দুটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

গো ব্রডব্যান্ডের বিষয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিটিআরসিতে অভিযোগ করে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ গ্রামীণফোনকে ৬টি বিষয়ের ওপর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। অপারেটরটির জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গত জুনে এ সেবাকে অবৈধ ঘোষণা করে বিটিআরসি।

গ্রামীণফোনের বহির্যোগাযোগ বিভাগের প্রধান সৈয়দ তালাত কামাল বলেন, বিটিআরসি এ বিষয়ে গ্রামীণফোনকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তাই এখনই মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার যথাযথ অনুমোদন নিয়ে ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গ্রামীণফোন এ সেবা দিয়ে আসছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে