মো:সাব্বির হোসেন রনি, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: নির্ধারিত সময়ে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই এই নির্বাচনের জন্য আরও ১০ দিন সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন নির্ধারিত সময়ে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই এই নির্বাচনের জন্য আরও ৯০ দিন সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (১৯ অক্টোবর) ইসির যুগ্মসচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় ইসি পুরো নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করে।

সংবিধানের ১২৩ (৪) অনুচ্ছেদের বিধান মতে জাতীয় সংসদের কোন সদস্যপদ শূন্য হলে শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উক্ত ৯০ দিবসের মেয়াদ চলতি অক্টোবর মাসের ২০ তারিখে সমাপ্ত হবে। কিন্তু পূর্ব বর্ণিত মতে গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের সম্পূর্ণ নির্বাচন এলাকার নির্বাচন বন্ধ ঘোষিত হওয়ার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে সকল আবশ্যক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে পুন: নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী ০৮ দিনের মধ্যে উক্ত শূন্য পদ পূরণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৪) দফার শর্তাংশের বিধান মতে কোনো দৈব দুর্বিপাকের কারণে নির্ধারিত ৯০ দিনের মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান করার বিধান রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার ও দায়িত্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনারের।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৪) দফার শর্তাংশের বিধান মতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, পূর্ব বর্ণিত উদ্ভূত অবস্থাটি অনাকাঙ্খিত, অকল্পনীয় ও নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত বিবেচনায় দৈব-দুর্বিপাক গণ্য করে চলতি অক্টোবর মাসের ২০ তারিখ হতে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে তথা আগামী ২০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের মধ্যে গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পরবর্তী নতুন মেয়াদ নির্ধারণ করেছেন এবং তদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পরবর্তী সকল কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে