মোঃ আব্দুল আজিম, স্টাফ রিপোর্টার: দিনাজপুরের পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানোর নিবেদিত প্রাণ এলাকার বিশিষ্ট সমাজ-সেবক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ার পর পার্বতীপুর উপজেলার ৯নং হামিদপুর ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের মোবারকপুর জামে মসজিদের মুসল্লি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে মত বিনিময় করেছেন।

এসময় মোবারকপুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল আউয়াল, সেক্রেটারী মোঃ ইব্রাহিম ও কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মোত্তালেব মত বিনিময় সভায় বলেন, পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলার দধিপুর, রাসভদ্রপুর, মহেষপুর, মজিদপুরসহ ২০টি গ্রাম ১৯৯৬ সালে বিদ্যুতের কারণে গভীর, অগভীর নলকুপ ও বাড়িগুলোতে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে এলাকার কৃষিক্ষেত্র অচল হয়ে পড়েছিল।

এলাকাবাসীর অনুরোধে মোহাম্মদ আলী চৌধুরী নিজ উদ্যোগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছিলেন। ফলে এলাকায় ব্যাপক কৃষি উন্নয়ন ঘটেছে। তারা আরও বলেন, এই মসজিদটি নির্মাণের প্রচুর টাকা দেনা হয়ে পড়েছিল। মোহাম্মদ আলী চৌধুরী সে টাকা পরিশোধ করেছেন এবং মসজিদের টাইলস বাবদ প্রচুর অর্থ প্রদান করেছেন। এছাড়া জাফরপুর বৃহৎ ব্রীজ, খয়েরবাড়ী ব্রীজ ও ফুলবাড়ী শহরের প্রধান ব্রীজ নির্মাণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন তিনি। ফুলবাড়ী ডিগ্রী কলেজে অনার্স কোর্স চালু করার ব্যাপারে এবং এলাকার রাস্তাঘাট নির্মাণেও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন।

মত বিনিময় সভায় মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, আমি মন্ত্রী, এমপি হতে চাই না। এলাকার উন্নয়নে এবং জনগণের দুঃখ্য দুর্দশা দুর করতে বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে এসব কাজ করে এনেছি। অনেকে আমাকে লৌহ মানব, ব্রীজ মাস্টার উপাধীতে ভূষিত করলেও আমি শুধু তাদেরকে বলেছি আপনারা আমার এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। যেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে পারি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে