ডেস্ক রিপোর্ট: কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে বিএনপির একজন সংসদ সদস্যের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

পরে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব সাংবাদিকদের সঙ্গে তুলে ধরেন সেতুমন্ত্রী।

আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগ নেতা এসব এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।

গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিজ দলের আরো দুই সংসদ সদস্যকে নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুখের জন্য অবিলম্বে বিদেশে বিশেষায়িত হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা দরকার। তাঁকে জামিন পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত না করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’

চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে চান কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘তিনি চিকিৎসার সুযোগ পেলে অবশ্যই বিদেশে যাবেন। তিনি আজ জামিন পেলে কাল বিদেশ যাবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘এখন খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হবে তাঁর চিকিৎসা এবং তাঁর বর্তমান শারীরিক যে অবস্থা, তাতে সুচিকিৎসার জন্য তেমন বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশে নেই।’

আজ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সামনে বিষয়টি তোলেন গণমাধ্যমের কর্মীরা। এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি ভেতরে ভেতরে খালেদার মুক্তির জন্য সরকারের সহযোগিতা চাইছে। তবে বাইরে দলের নেতারা আন্দোলন করে তাঁকে মুক্ত করার কথা বলছেন। আমি মনে করি, তাঁরা আন্দোলন করুক। তাঁরা আন্দোলন করে বিস্ফোরণ সৃষ্টি করে যদি তাঁকে মুক্ত করতে পারে করুক। আন্দোলনের কথা বলেও তাদের কোনো ছোট ঢেউও দেখলাম না। তাঁরা এত বড় দল, আন্দোলন করে তাঁরা সরকার হটাক। তাহলে তো খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন, তাদের সরকারে আসার খায়েশ পূরণ হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া জামিন পাবেন কি না, সেটা আদালতের বিষয়। সরকার আদালতকে কীভাবে বলবে জামিন দিতে? তাহলে এটি বিচার ব্যবস্থার প্রতি অসম্মান নয়? তিনি যদি জামিন পান চিকিৎসকরা যদি মনে করেন, তাঁর বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করা দরকার, সেটা তাঁরা বলতে পারেন। সে ধরনের কোনো রিপোর্ট পেলে পরামর্শ থাকলে তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘তাঁরা জামিন আবেদন করলে পক্ষ-বিপক্ষ আলোচনা হবে। সে অবস্থায় আসলে জামিন তাঁরা কেন চান, জামিন চাওয়ার মতো মামলায় সেই সুবিধা আছে কি না, সেটি দেখতে হবে। এটা আদালতের বিষয়। যিনি বিচারপতির আসনে বসবেন, তিনি সিদ্ধান্ত দেবেন। সরকারের এখানে কিছু করার নেই। খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই।’

এ সময় যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি বলছি ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন। আমি কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে কিছু বলব না। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করব।’

‘তৃণমূলের সম্মেলনে অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের দলের নেতৃত্বে বসাব না। এটাও আমাদের এটি উদ্দেশ্য। যারা অপকর্মে জড়িত, তাদের বাদ দিয়েই করব,’ যোগ করেন সেতুমন্ত্রী।

P/B/A/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে