বিডি নীয়ালা নিউজ( ২রা আগস্ট ২০১৬ইং)-ডেস্ক রিপোর্টঃ জামাতের সাথে জোট করার পর থেকেই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন শুরু করেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় জোট-বিএনএ’ও চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা জন্মদিনের কেক কেটে ভাবমূর্তি আর নষ্ট করবেন না। এটা এক ধরনের হীন চেষ্টা। আপনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার দিনে জন্মদিনের কেক না কেটে অন্য কেনো দিন কেক কাটুন। নইলে বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ক্ষমা করবে না।’
নাজমুল হুদা মঙ্গলবার শোকের মাসের দ্বিতীয় দিনে শিশু কল্যাণ পরিষদের মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস-২০১৬’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদ সিরাজউদ্দীন আহমেদ, কৃষক শ্রমিক পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন সালাম মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম সাজু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালনের শুরু নিয়ে নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমরা অনেকেই প্রতিবাদ করেছি কিন্তু যেহেতু এটি (জন্মদিন পালন) প্রতিবাদী রাজনীতির অংশ ছিল তাই হয়ে উঠে নি। তাছাড়া জামায়াতকে সাথে নিয়ে জোট গঠন করে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থেকে আগস্ট মাসে বিভিন্ন কর্মসূচী দিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলছিল। সেটাকে স্তব্ধ করার জন্যই ১৫ আগস্টে জন্মদিন পালন নামক নাটকের অবতারণা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে ছিলাম। আমি লক্ষ্য করেছি যখন চারদলীয় জোট করে জামায়াতকে সঙ্গে নেয়া হয় তখন বিএনপির রাজনীতিতে হঠাৎ করে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন হিসেবে পালন করা শুরু হয়।’
নাজমুল হুদা বলেন, ‘১৫ আগস্ট দিনটিকে আপনি জন্মদিন হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। ১৫ আগস্টকে বিতর্কিত করতে আপনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু আপনি শত চেষ্টা করেও পারবেন না, এ জাতি তা নস্যাৎ করে দিবে। দিনটিকে শোক দিবস হিসেবে পালন করুন।’
বাংলাদেশ জাতীয় জোটের চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা ক্ষমতার স্বপ্ন দেখেন, যে কোনোভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেন, তারাই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের হোতা। তাদের চিহ্নিত করতে হবে, এটা করা কেনো কঠিন কাজ নয়। এদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে।’
ittefaq