মিডিয়া আউটলেটগুলো  আইনী দলিল অনুসারে দেখছে যে সৌদি আরবে শাস্তিস্বরূপ বেত্রাঘাত বন্ধ করতে হবে। 
উপসাগরীয় রাজ্যের  এ সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে বলা হয়েছে, চাবুকের  পরিবর্তে জেল বা জরিমানার ব্যবস্থা নেয়া হবে।  সুপ্রিম কোর্ট আরো জানায়, এটি রাজা সালমান ও তার পুত্রের গৃহীত মানবাধিকার সংস্কারের বর্ধিতাংশ।  দেশটির প্রকৃত শাসক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
বিরোধীদের কারাগারে বন্দি করা এবং সাংবাদিক জামাল খাসেগিকে হত্যার ঘটনায় সৌদি সমালোচিত হয়েছে। সৌদি আরবের মানবাধিকার বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ  অবস্থায় রয়েছে। যার মধ্যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা কঠোরভাবে কমে গেছে এবং সরকারের সমালোচকদের নির্বিচারে গ্রেফতারের বিষয়টিও।
সৌদি আরবের সবচেয়ে খারাপ খবর ছড়িয়ে ছিলো ২০১৫ সালে ব্লগার রাইফ বদাওয়িকে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া হয়েছিলো বলে। জানা গেছে সে সাইবার ও ইসলাম অবমাননার দায়ে দোষী সাবস্ত হয়েছিলো।  যার শাস্তিস্বরূপ ১০০০ টি বেত্রাঘাত করার কথা ছিলো এবং সে বেত্রাঘাত করা  অবস্থায় মারা যায়।
বিবিসি আরব বিষয় সম্পাদক সেবাস্তিয়ান উশার বলেছেন, সৌদি  আরবের ভাবমূর্তির পক্ষে এটি পরিষ্কারভাবে খারাপ বিষয় ছিলো।   কিন্তু এ  নতুন আইনটি হওয়ার ফলে  বিরোধীদলীয় নেতারা সমালোচনার করার কিছুটা হলেও সুযোগ পাবেন।

বিবিসি                      

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে