ডেস্ক রিপোর্টঃ অবৈধ পলিথিন কারখানা বন্ধ এবং নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করবে পরিবেশ অধিদপ্তর। শিগগিরই শুরু হবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম। এ লক্ষ্যে রাজধানীর পাশাপাশি বিভাগীয় সদর এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমী তার কার্যালয়ে বাসস’কে এসব কথা বলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ‘পলিথিন শপিং ব্যাগ মুক্ত পক্ষ’ পালনের পরিকল্পনা রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক জানান, বিভাগীয় সদর এবং জেলা পর্যায়ে অধিদপ্তরের ২১টি কার্যালয় আছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন উৎপাদন ও বিপননের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সরকার পরিবেশ সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবৈধ পলিথিন কারখানা বন্ধে এবং নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করবে পরিবেশ অধিদপ্তর। শিগগিরই শুরু হবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম।’
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ বিরোধী অভিযানে মোট ৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ৮৩৭ দশমিক ১৬ টন পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে।
কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমী বলেন, ‘২০১০ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত সারাদেশে মোট ২ হাজার ৯৫৬টি পলিথিন শপিং ব্যাগ বিরোধী অভিযান (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে মোট ৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ৮৩৭ দশমিক ১৬ টন পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে’।
তিনি বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পাশাপাশি বর্জ্য হিসাবে ফেলে দেওয়া পলিথিন ব্যাগ ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে অচল করে দেয়। ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধে জনসচেতনতার উপর তিনি গূরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘পাটের তৈরি বিকল্প জৈব পচনশীল ব্যাগ চালু হলে নিষিদ্ধ ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যাগের ব্যবহার বহুলাংশে বন্ধ হবে। পাশাপাশি নিষিদ্ধ নয়, এমন পলিথিনের ব্যাগগুলো রিসাইক্লিং-এর উপর জোর দিতে হবে।’
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে পলিথিনের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়। অন্যদিকে, দেশে বর্তমানে ২৬৪টি বৈধ পলিথিনের কারখানা রয়েছে। এগুলোতে মূলত নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে প্লাস্টিক বা পলিথিনের মাধমে রপ্তানিমুখী বিভিন্ন সামগ্রি ও তৈরি পোশাকের প্যাকেট, বিভিন্ন তৈরি খাবার ও প্যাকেটজাত হালকা খাবারের মোড়ক এবং দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যের প্যাকেট তৈরি করা হয়। এসব কারখানার জন্য পরিবেশ ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন অনুসারে, ‘পলিথিন শপিং ব্যাগ’-এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘পলিথিন শপিং ব্যাগ’ অর্থে পলিইথাইলিন, পলিপ্রপাইলিন বা উহার কোন যৌগ বা মিশ্রন- এর তৈরি ব্যাগ, ঠোঙ্গা বা অন্য কোন ধারক যা কোন সামগ্রি ক্রয়-বিক্রয় বা কোন কিছু রাখার কাজে বা বহনের কাজে ব্যবহার করা যায়।
এই আইনের ৬ক ধারা অনুসারে, উল্লিখিত ‘পলিথিন শপিং ব্যাগ’ উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণের দায়ে অনধিক ১০ (দশ) বছর সশ্রম কারাদন্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে।
এছাড়াও উল্লিখিত ‘পলিথিন শপিং ব্যাগ’ বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের দায়ে অনধিক ৬ (ছয়) মাস সশ্রম কারাদন্ড বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে।
বাসস/এমকে/১৮২৫/কেএমকেবাসস দেশ-২৩
পলিথিন-কঠোর ব্যবস্থা
সোয়া ৮ কোটি টাকা জরিমানা, সোয়া ৮ শতাধিক টন ব্যাগ জব্দ : পলিথিন শপিংব্যাগ বিরোধী অভিযান আরও জোরদার হচ্ছে
ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ (বাসস) : অবৈধ পলিথিন কারখানা বন্ধ এবং নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করবে পরিবেশ অধিদপ্তর। শিগগিরই শুরু হবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম। এ লক্ষ্যে রাজধানীর পাশাপাশি বিভাগীয় সদর এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমী তার কার্যালয়ে বাসস’কে এসব কথা বলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ‘পলিথিন শপিং ব্যাগ মুক্ত পক্ষ’ পালনের পরিকল্পনা রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক জানান, বিভাগীয় সদর এবং জেলা পর্যায়ে অধিদপ্তরের ২১টি কার্যালয় আছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন উৎপাদন ও বিপননের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সরকার পরিবেশ সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবৈধ পলিথিন কারখানা বন্ধে এবং নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করবে পরিবেশ অধিদপ্তর। শিগগিরই শুরু হবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম।’
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ বিরোধী অভিযানে মোট ৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ৮৩৭ দশমিক ১৬ টন পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে।
কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমী বলেন, ‘২০১০ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত সারাদেশে মোট ২ হাজার ৯৫৬টি পলিথিন শপিং ব্যাগ বিরোধী অভিযান (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে মোট ৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ৮৩৭ দশমিক ১৬ টন পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে’।
তিনি বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পাশাপাশি বর্জ্য হিসাবে ফেলে দেওয়া পলিথিন ব্যাগ ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে অচল করে দেয়। ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধে জনসচেতনতার উপর তিনি গূরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘পাটের তৈরি বিকল্প জৈব পচনশীল ব্যাগ চালু হলে নিষিদ্ধ ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যাগের ব্যবহার বহুলাংশে বন্ধ হবে। পাশাপাশি নিষিদ্ধ নয়, এমন পলিথিনের ব্যাগগুলো রিসাইক্লিং-এর উপর জোর দিতে হবে।’
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে পলিথিনের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়। অন্যদিকে, দেশে বর্তমানে ২৬৪টি বৈধ পলিথিনের কারখানা রয়েছে। এগুলোতে মূলত নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে প্লাস্টিক বা পলিথিনের মাধমে রপ্তানিমুখী বিভিন্ন সামগ্রি ও তৈরি পোশাকের প্যাকেট, বিভিন্ন তৈরি খাবার ও প্যাকেটজাত হালকা খাবারের মোড়ক এবং দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যের প্যাকেট তৈরি করা হয়। এসব কারখানার জন্য পরিবেশ ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন অনুসারে, ‘পলিথিন শপিং ব্যাগ’-এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘পলিথিন শপিং ব্যাগ’ অর্থে পলিইথাইলিন, পলিপ্রপাইলিন বা উহার কোন যৌগ বা মিশ্রন- এর তৈরি ব্যাগ, ঠোঙ্গা বা অন্য কোন ধারক যা কোন সামগ্রি ক্রয়-বিক্রয় বা কোন কিছু রাখার কাজে বা বহনের কাজে ব্যবহার করা যায়।
এই আইনের ৬ক ধারা অনুসারে, উল্লিখিত ‘পলিথিন শপিং ব্যাগ’ উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণের দায়ে অনধিক ১০ (দশ) বছর সশ্রম কারাদন্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে।
এছাড়াও উল্লিখিত ‘পলিথিন শপিং ব্যাগ’ বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের দায়ে অনধিক ৬ (ছয়) মাস সশ্রম কারাদন্ড বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে।

 

B/S/S/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে